Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির ৫০ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে

প্রতীকী ছবি

ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির অন্তত ৫০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয় ৩৮ জন। আসামিদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ২০৭ পিচ চেতনানাশক বড়ি। ঢাকার আদালত প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অর্গানাইজড ক্রাইম প্রিভেনশন টিমের এস আই রফিকুল ইসলাম সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তৎপর রয়েছে।

পুলিশ ও আদালত সূত্র বলছে, রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির ৩৮ জন, শেরেবাংলা নগর পঙ্গু হাসপাতালের সামনে থেকে পাঁচজন এবং ডেমরা থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, গত ১৭ মে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় নিউমার্কেটের তিন নম্বর গেটের পাশে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা অবস্থান নেন। পুলিশ সেখান থেকে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে আইনের সংস্পর্শে আসা চারজন শিশু ছিল। আসামিদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় চেতনানাশক ট্যাবলেট। আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, পানি, ডাব, চা, জুসসহ বিভিন্ন খাবারে এসব বড়ি মিশিয়ে তাঁরা সাধারণ মানুষদের সর্বস্ব কেড়ে নেন।

গত ১১ মে শেরেবাংলা নগরের পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অভিযান চালিয়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় র‍্যাব-২ এর নায়েব সুবেদার মাহবুব আলম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। আসামিদের কাছ থেকে চেতনানাশক বড়ি জব্দ করা হয়।

মামলায় এজাহার বলছে, পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা চেতনানাশক ট্যাবলেট নিয়ে অবস্থান করছিল। তখন সেখান থেকে অজ্ঞান পার্টির পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম জব্দ করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই হাফিজুর রহমান আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, এসব আসামি জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হবেন।

গত ১১ মে ডেমরার রানীমহল সিনেমা হলের সামনের বাসস্ট্যান্ড থেকে অজ্ঞান পার্টির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের কাছ থেকে ৪৩ পিচ চেতনানাশক বড়ি জব্দ করা হয়। ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের এস আই আবুল কালাম আজাদ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে জানান, আসামিরা চা, জুস, ডাবের পানিতে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে সাধারণ মানুষদের সেবন করিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয়।

নিউমার্কেটের ৩৮ জন
নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার প্রাপ্তবয়স্ক ৩৪জন হলেন, আবদুস সালাম মীর, ফালান, মনির হোসেন, সাকিব হোসেন, ইকবাল হোসেন, আফজাল হোসেন আরিফ, মনির হোসেন, সানী, জুয়েল, মিজানুর রহমান, শামীম, বাদল দেওয়ান, সেলিম, আসিফুল মিন্টু, শাহ আলম, শাহীন, আবদুর রহমান, রকিব, সেন্টু মণ্ডল, রিপন শিকদার, হৃদয় মিয়া, মুন্না, সেন্টু মাঝি, আশরাফুল, রেজাউল, জাহাঙ্গীর হোসেন, রবিন আহম্মেদ, বাবু, মাসুদ আলম, সাইফুন, রাল ইসলাম, সুমজু, ফজলে রাব্বী ও সবুজ। আইনের সংস্পর্শে আসা চার শিশুকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

ডেমরায় ৭ জন
দেলোয়ার হোসেন, মোস্তফা মিয়া, আবুল হোসেন খান, শাহীন, মনির হোসেন, শাহ জাহান ও তাহের।

শেরেবাংলা নগরের ৫ জন
পারভেজ, লিটন, সুজন, রনি ও শ্রাবণ।