Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের মামলার ৫ আসামি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে লাঞ্ছিত করার মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে রাজশাহী নগরের বেলপুকুর ও সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় ১৮ জন গ্রেপ্তার হলেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও চন্দ্রিমা থানার পুলিশ এ অভিযান চালায়। আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, গ্রেপ্তার পাঁচজন অধ্যক্ষের দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁরা হলেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকোড় বাজারের কামাল হোসেন ওরফে সৌরভ (২৪), পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামের সাব্বির আহম্মেদ ওরফে শান্ত (২২), চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের সালমান ওরফে টনি (২২), রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রা এলাকার রায়হানুল ইসলাম ওরফে হাসিব (২১) এবং চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের মুরাদ হোসেন (১৯)। তাঁরা রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সৌরভ মামলার ১ নম্বর আসামি। আর মুরাদ ২, সাব্বির ৩, সালমান ৬ এবং রায়হানুল ৭ নম্বর আসামি। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। এর মধ্যে কামাল হোসেন পলিটেকনিক ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। ওই ঘটনায় তাঁকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মিডটার্মে অকৃতকার্য এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা কামাল হোসেনকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে ২ নভেম্বর সকালে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনের কার্যালয়ে গিয়ে চাপ দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওই দিন দুপুরে অধ্যক্ষকে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরের একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। রাতে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন অধ্যক্ষ। এরপর পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। তবে মূল হোতারা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ১২ নভেম্বর অধ্যক্ষ ফরিদকে সহানুভূতি জানাতে গিয়ে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা।

আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ঘটনার পর থেকেই মূল হোতারা আত্মগোপন করেছিলেন। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ন্যক্কারজনক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।