Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজশাহী আইএইচটির ছাত্রলীগের ৪ নেতা বহিষ্কার

রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ছাত্রীদের ওপর গতকাল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ‘হামলা’র সময় অসুস্থ হয়ে পড়া ছাত্রীদের একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যান সহপাঠীরা l ফোকাস বাংলা

ছাত্রীদের ওপরে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) শাখার চার নেতাকে গতকাল বুধবার রাতেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই শাখার ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত চার নেতা হলেন ছাত্রলীগের আইএইচটি শাখার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি মিজানুর রহমান ও ফয়সাল আহমেদ।

রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতেই এই চার নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ ঢাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। কেন্দ্র থেকে রাত ১১টার দিকে তাঁদের চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজশাহী আইএইচটির কমিটির বয়সও সাড়ে চার বছর হয়ে গেছে। এ জন্য একই সঙ্গে তাদের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিই বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজশাহী আইএইচটিতে ছাত্রীদের ওপরে ছাত্রলীগের মামলার ঘটনায় গতকাল অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন বেলা একটার মধ্যে ছাত্রদের এবং বেলা তিনটার মধ্যে ছাত্রীদের ছাত্রাবাস খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আইএইচটির ছাত্রীরা জানান, ৩ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের একটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচিতে কয়েকজন ছাত্রী অংশ নিতে পারেননি। এ নিয়ে ওই দিন ছাত্রলীগের আইএইচটি শাখার নেতারা ছাত্রীনিবাসে ঢুকে ছাত্রীদের গালাগাল দেন। এর প্রতিবাদে গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের কাছে তাঁর কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ছাত্রীনিবাসের তত্ত্বাবধায়ক মোর্শেদা খাতুন। অধ্যক্ষ ছাত্রীদের কথা শুনে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় অধ্যক্ষের কার্যালয়ের বাইরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল শুরু করেন। এতে ছাত্রীরা ছাত্রীনিবাসে যেতে ভয় পেলে অধ্যক্ষকে তাঁদের পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানান। পরে তিনি ছাত্রীদের ছাত্রীনিবাসে পৌঁছে দিতে যান।
ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, যখন অধ্যক্ষ ছাত্রীদের ছাত্রীনিবাসে প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন পেছন দিকে থাকা ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের কয়েকজন হামলা চালান। এ সময় পাঁচ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। কাছেই থাকা পুলিশ হামলা ঠেকাতে কোনো ভূমিকা রাখেনি।