Thank you for trying Sticky AMP!!

রাস্তায় গাছ ফেলে উপাচার্যের ওপর হামলা

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-উর-রশিদ

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-উর-রশিদ আসকারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। উপাচার্য বলছেন, রাস্তায় গাছ ফেলে আটকে দেওয়া হয়েছে তাঁর ব্যবহৃত গাড়ি। ভাঙচুরের পর রামদা নিয়ে হামলার চেষ্টা চলেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বরদা এলাকায় ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার পর প্রথম আলোকে উপাচার্য হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘এটা সংঘবদ্ধ দলের পরিকল্পিত অ্যাটাক (আক্রমণ)। এ ঘটনায় আমি খুবই বিপর্যস্তবোধ করছি। নিরাপত্তাহীনতায় আছি। সরকারের কাছে আমি আমার নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন জানাচ্ছি।’

উপাচার্যের ভাষ্য, গতকাল সন্ধ্যার দিকে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে তিনি রওনা দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে একান্ত সহকারী (পিএস) রেজাউল করিম ছিলেন। মাগুরা হয়ে ঝিনাইদহ শহরে তিনি রেজাউলকে তাঁর বাসায় নামিয়ে দেন। এরপর চালক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে রওনা হন। রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে বরদা এলাকায় মহাসড়কের ওপর তাঁরা গাছের গুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখেন। গাড়ির গতি কমালে কয়েকজন যুবক দ্রুত কাছে এসে গাড়ির জানালার কাচে আঘাত করতে থাকে। কাচ ভেঙে যায়।

ব্যবহৃত গাড়িতে হামলাকারীরা ভাঙচুর চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। ছবি: প্রথম আলো

হামলার বর্ণনা দিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, চালকসহ তিনি দ্রুত গাড়ি থেকে বের হন। তিনজন যুবককে (শার্ট প্যান্ট পরা, মাথা ও গলায় মাফলার জড়ানো) রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। আশপাশে আরও কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁরা কতজন তা বুঝতে পারেননি। তাঁদের দেখে উপাচার্য দ্রুত জঙ্গলের মধ্যে দৌড় দেন। যুবকেরাও দৌড়ে জঙ্গল থেকে উপাচার্যকে ধরে আবার রাস্তায় নিয়ে আসেন। এরপর গালাগালি করে টাকা চান। মানিব্যাগ নিয়ে নেন। মুঠোফোনও তাঁরা নিয়ে গেছেন। তবে কাছে থাকা ল্যাপটপ নেননি।

ঘটনার সময় সড়কে অন্য কোনো গাড়ি ছিল না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। কিছুক্ষণ পর রাস্তায় আরও কয়েকটি গাড়ি দেখে হামলাকারীরা দ্রুত চলে যায়। এ সময় পাশের গ্রামের মানুষের সহায়তায় তিনি ও গাড়ির চালক ক্যাম্পাসে নিজস্ব বাসভবনে যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘আমি স্যারের (উপাচার্য) সামনে আছি পরে কথা বলছি।’