Thank you for trying Sticky AMP!!

গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত, র্যাবের দুজন আহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। এ সময় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হন। সোমবার বিকেলে হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া শরণার্থীশিবিরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ডাকাতের নাম আনোয়ার সাদেক (৩৫)। আহত র‌্যাব সদস্য দুজন হলেন মোহাম্মদ ইমরান ও শাহাব উদ্দিন। তাঁরা দুজন কক্সবাজার র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-১৫) টেকনাফ ক্যাম্পের সদস্য। 

র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিকেলে ইয়াবাবিরোধী অভিযানে গেলে র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ডাকাতেরা। এতে দুই র‌্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হচ্ছে।’ ঘটনাস্থল থেকে আনোয়ার সাদেক নামের এক ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ ও অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সাদেক রোহিঙ্গা ডাকাত জাকিরের সহযোগী।

র‌্যাব সূত্র জানায়, ইয়াবা পাচারের গোপন তথ্য পেয়ে উপজেলার হ্নীলার নয়াপাড়া মোচনী শরণার্থীশিবিরে অবস্থান নেয় র‌্যাব। এ সময় সশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সদস্যরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তির লাশ, অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এতে দুই র‌্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ মেরিন সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান।

মেরিন সিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাহিদ হাসান বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজন নিয়ে আসে র‌্যাব। তাদের কোমরের পেছনে গুলির চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের কক্সবাজার পাঠানো হয়েছে।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির হওয়ায় চিহ্নিত কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অবস্থান করে আসছে। সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় লোকজনকে নিয়ে ইয়াবা চোরাচালান, ছিনতাই, অবৈধ অস্ত্রের মজুত, মুক্তিপণ ইত্যাদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

রোহিঙ্গারা জানান, একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।