Thank you for trying Sticky AMP!!

শাহবাগে 'বকশিশ' না পেয়ে দোকানিকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের ফুল দোকানের মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জুয়েল মোল্লার বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।

চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ জুয়েল অস্বীকার করলেও প্রত্যক্ষদর্শী অন্য দোকানিরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী শামীম আহমেদ গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ঈদুল আজহার আগে জুয়েল তাঁর কাছে ‘বকশিশ’ চান। পরের কয়েক দিনে জুয়েল টাকা চেয়ে শামীমের মুঠোফোনে বেশ কিছু খুদে বার্তা পাঠান। তবে সাড়া দেননি শামীম। টাকা না পাওয়ায় গতকাল বিকেলে শাহবাগে আসেন জুয়েল। শামীমকে ‘বিএনপি-জামায়াতের লোক’ আখ্যা দিয়ে মারধর করেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী তাঁকে চেনেন বললে শামীমকে আরও বেশি মারধর করেন জুয়েল।

অভিযুক্ত জুয়েল মোল্লা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নাট্য ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্র। জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, তাঁর কাছে প্রমাণ আছে যে শামীম বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জড়িত। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের কাছে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করেন। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন জুয়েল। শামীমের কাছে তিনি কোনো চাঁদা চাননি, তাঁকে মারধরও করেননি।

প্রত্যক্ষদর্শী দোকানি ও মালিক সমিতির নেতারা জানান, গতকাল বিকেল চারটার দিকে শাহবাগে ফুলের দোকানের মালিক সমিতির কার্যালয়ে আসেন জুয়েল। তিনি শামীমকে ‘বিএনপি-জামায়াতের লোক’ প্রমাণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে সম্পর্কে আছে বললে শামীমকে তিনি ঘুষি ও লাথি দেন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের নেতার বিরুদ্ধে প্রমাণসহ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এলে বিষয়টি দেখা হবে।