Thank you for trying Sticky AMP!!

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত শেষে এ তথ্য জানান।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল থেকে উপজেলার দুই শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণির প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু তিন টাকা করে প্রদান করার কথা। অথচ ১৬ এপ্রিল শিক্ষা কার্যালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিঞা প্রশ্নপত্র তৈরিতে খরচ বেড়ে যাওয়ার কথা বলে চার টাকা করে দিতে প্রধান শিক্ষকদের প্রস্তাব দেন। পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০ এপ্রিল শিক্ষকেরা চার টাকা করে জমা দিয়ে শিক্ষা কার্যালয় থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেন। এদিকে ২২ এপ্রিল পরীক্ষার প্রথম দিনে ছোট অক্ষরে তৃতীয় শ্রেণির প্রশ্নপত্র ছাপা হওয়ায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভালোমতো প্রশ্ন বুঝতে পারেনি। এ নিয়ে ২৩ এপ্রিল প্রথম আলোয় একটি সংবাদ ছাপা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তে মৌলভীবাজারের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন বালাকে দায়িত্ব দেয়।
পঞ্চানন বালা সাংবাদিকদের বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। প্রশ্নপত্র তৈরির ব্যয়ভার মেটাতে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। এ ছাড়া তৃতীয় শ্রেণির প্রশ্নপত্রের নমুনা দেখেছি। এ প্রশ্নপত্র ছাপানোর ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি। এসব ব্যাপারে বিভাগীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’