Thank you for trying Sticky AMP!!

শিশুকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাটে শিশু আরাধাকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক রোস্তম আলী এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন উত্তম কুমার সরকার (২৯), বীরেন চন্দ্র বর্মণ (৩৮), সন্তোষ সরকার ওরফে টেপলু (২৮), মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রাব্বু (৩৮) ও ওবাইদুল ইসলাম (২৫)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ কৌঁসুলি ফিরোজা চৌধুরী জানান, আসামিদের মধ্যে উত্তম কুমার সরকার জামিন নিয়ে পলাতক। অন্যরা কারাগারে।

মামলা সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, আড়াই বছরের শিশু আরাধা ছিল জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা মোলান রশিদপুর গ্রামের পরেশ চন্দ্রের মেয়ে। ২০১৫ সালে ২২ ডিসেম্বর আরাধা বাড়ির পাশে খেলা করছিল। বেলা একটার পর আরাধাকে স্বজনরা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। একটি নম্বর থেকে আরাধার বাবার মুঠোফোন নম্বরে কল করে আরাধাকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তিন দিন পর ২৫ ডিসেম্বর স্থানীয় একটি পুকুরপাড়ে মাটিচাপা অবস্থায় আরাধার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওবাইদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, রুহুল আমিন ওরফে ফ্যাকা, বিকাশ চন্দ্র বর্মণ ও উত্তম কুমার সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ রুহুল আমিনকে অব্যাহতি দিয়ে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

আরাধার বাবা পরেশ চন্দ্র রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘টাকার লোভে আমার আড়াই বছরের মেয়েকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক, এটাই আমার চাওয়া ছিল। আজ মামলার রায়ে আদালত পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। দ্রুত রায় বাস্তবায়নের দাবি করছি।’