Thank you for trying Sticky AMP!!

শেরপুরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা, আহত ৫

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী আয়নাপুর উচ্চবিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্র আহত হয়। পণ্ড হয়ে যায় অনুষ্ঠান।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে নবনির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হন। এতে সাতজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ছাড়া একটি মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় স্বাধীনতা দিবসে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা আলাদা কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় ‘ককটেল’ হামলায় জেলা পরিষদের প্রশাসক আহত হয়েছেন।
শেরপুরের পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টার দিকে আয়নাপুর উচ্চবিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে কাড়াগাঁও গ্রামের হিমু, মিলন, রাসেল, ফারুকসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত রামদা, লাঠিসোঁটা ও চাপাতি নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় দশম শ্রেণির ছাত্র তালাশ মাহমুদ গুরুতর ও আরও চার ছাত্র আহত হয়। পরে তালাশকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফছিহুর রহমান রাত সাড়ে আটটার দিকে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী হাসর উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন মুক্তিযুদ্ধের ৬ নম্বর সেক্টর স্মৃতিস্তম্ভটিতে স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামানকে পেছন ধাক্কা মারেন বুড়িমারী ছাত্রদল নেতা হাসান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে বাশঁকল এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে পাটগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, আর্দশ ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজাদা আশরাফুল, উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক রুবেল খন্দকার, আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক বিপ্লব বিকাশ রায়, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ছেলে আসাদুজ্জামান ফরিদ প্রমুখ আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বলেন, জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বুড়িমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ফুল দেওয়া ও মিছিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ আলম বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি শোভাযাত্রা বের করে। সকাল নয়টার দিকে একপর্যায়ে ফুলতলা কাঁচাবাজারের কাছে দুই পক্ষের শোভাযাত্রা মুখোমুখি হয়। এ সময় পরপর দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান বাঁ পায়ে আঘাত পান। পরে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তবে দামুড়হুদা থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, ককটেল নয়, কেউ আতশবাজি ফুটিয়েছিল।
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা দিয়েছেন শেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি]