Thank you for trying Sticky AMP!!

শেরপুর ও বড়লেখায় দুটি লাশ উদ্ধার

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় গতকাল শুক্রবার আল আমিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর মামা মোতালেব হোসেনকে (৩৬) ছুরিকাঘাত করে খুন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ছোটলেখা চা-বাগানের নিরাপত্তাকর্মী জামাল উদ্দিনের (৪৪) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শেরপুর সদর উপজেলার টালিয়াপাড়া গ্রাম থেকে গতকাল অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
জামালপুর: পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা বলেন, গতকাল সকাল ১০টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার পূর্ব আদ্রা গ্রামের মেহের উদ্দিনের ছেলে মোতালেব হোসেন বাড়ির পাশে একটি খালে মাছ ধরতে যান। বেলা ১১টার দিকে তাঁর ভাগনে আল আমিন ওই খালপাড়ে গিয়ে মাছ দেখতে চায়। মাছ দেখা নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। এ সময় ভাগনে আল আমিন মামাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে রক্তমাখা ছুরিসহ আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ মোতালেবের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিমূল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে মোতালেবের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে আল আমিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
মৌলভীবাজার: পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের উত্তর সাতকরাকান্দির ষাটমা নদী থেকে পুলিশ ছোটলেখা চা-বাগানের নিরাপত্তাকর্মী জামাল উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে। তিনি সদর ইউনিয়নের উত্তর ডিমাই গ্রামের মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে। গত বুধবার বিকেল চারটার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জামাল উদ্দিনের ভাই কামাল হোসেন বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল ছোটলেখা চা-বাগানের শ্রমিক লাবক দাসকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
শেরপুর: পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা একটার দিকে একজন নারী শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের পাশে সদর উপজেলার টালিয়াপাড়া গ্রামের একটি ছনখেতের ভেতর কম্বল দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি চটের বস্তা দেখতে পান। তিনি বিষয়টি গ্রামের অন্য লোকদের জানান। গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে এসে ওই বস্তার ভেতরে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর পাঠান। বেলা তিনটার দিকে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। লাশের পরিচয় জানা যায়নি। শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বশির আহমেদ বলেন, ওই ব্যক্তির লাশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। তাঁর গায়ের রঙ ফরসা। পরনে সাদা রঙের হাফ-হাতা জামা ও ঘিয়ে রঙের ফুল প্যান্ট ছিল।