Thank you for trying Sticky AMP!!

সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ পুলিশের নির্যাতনের শিকার

এমনিতেই বয়সের ভারে ন্যুব্জ সত্তরোর্ধ্ব কাজী আবদুল মজিদ। তবু পুলিশের একটি দল বিনা কারণে তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর উপকণ্ঠে তুরাগ থানাধীন বাউনিয়ার বটতলা এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। গতকাল রাতে মজিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাহয়।
হাসপাতালে আবদুল মজিদের স্বজনেরা জানান, গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনি ওষুধ আনতে বাড়ির বাইরে যান। এ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাস থেকে তাঁকে ডাক দেওয়া হয়। তিনি এগিয়ে গেলে একজন বলেন, ‘মাইক্রোবাসে ওঠেন’। আবদুল মজিদ মাইক্রোবাস আরোহীদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের সিভিল পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। এরপর মজিদ বলেন, তাঁর নামে কোনো অভিযোগ থাকলে তিনি থানায় যাবেন, তবে রাতের বেলায় কোনো অপরিচিত সাদাপোশাকের লোকের সঙ্গে মাইক্রোবাসে উঠবেন না। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা মজিদকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁর শরীরে কয়েকটি সেলাই লেগেছে। তাঁর হাড়ও ভেঙেছে বলে চিকিৎসকেরা সন্দেহ করছেন। স্বজনেরা বলেন, মজিদ এক চোখে প্রায় কিছুই দেখেন না। অতি প্রয়োজন ছাড়া রাতে বাড়ির বাইরেও বিশেষ বের হন না।
রাত সোয়া ১১টার দিকে মজিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। আহত মজিদ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিছানায় শুয়ে বিলাপ করছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘বাপরে বাপ, সালাহ উদ্দিনরে ধইরা নিয়া গেছে, আরও কতজনরে ধইরা নিয়া গেছে। আমি জাইনা শুইনা জান দিতে যামু। আমি কইছি আমার বিরুদ্ধে মামলা থাকলে আমি থানায় যামু। তোমাগো লগে গাড়িত উডুম না, তোমাগো এত হুড়াহুড়ি ক্যারে।’
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবে খুদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশের একটি দল এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
পরে জয়দেবপুর থানার ওসির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।