সাংসদ ফিরোজ রশীদের পুত্রবধূ গুলিবিদ্ধ
সাংসদ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা কাজী ফিরোজ রশীদের পুত্রবধূ মেরিনা শোয়েব গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল্লাহীল কাফি প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রোববার রাতে সাড়ে নয়টার দিকে মেরিনা গুলিবিদ্ধ হন। রাতেই তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করেন।
ল্যাবএইড হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুর রহমান লেনিন প্রথম আলোকে বলেন, মেরিনাকে ঠিক বিপদমুক্ত বলা যাচ্ছে না। তিনি এখনো আইসিইউতে আছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, মেরিনা তিন বছর ধরে স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন। তবে দুই সন্তানসহ তিনি সাংসদের ধানমন্ডির বাসাতেই থাকেন। গতকাল রাতে কাজী ফিরোজ রশীদের ছেলের লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে তিনি গুলি চালান। পরে সাংসদ পুত্রবধূকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। পুলিশ বলেছে, মেরিনা গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় বাসায় তাঁর শাশুড়ি, ছেলে, মেয়ে ও গৃহকর্মীরা ছিলেন।
মেরিনা শোয়েবের বাবা সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, পিস্তল তাঁর জামাতার। সন্দেহটা সেখানেই। কোনো মেয়ে শখ করে আত্মহত্যা করে না। মেয়ে যন্ত্রণায় ছিল। জামাতা আরেকটি বিয়ে করেছে বলে তিনি শুনেছেন। পারিবারিক সিদ্ধান্তে পৃথক থাকা বাতিল করে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে থাকার কথা হলেও শ্বশুরবাড়ির তেমন উদ্যোগ ছিল না বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ নিয়ে তাঁর মেয়ে খুব কষ্টে ছিল।
মেরিনার স্বামী কাজী শোয়েব রশীদের মুঠোফোনে ফোন করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর কর্মচারী পরিচয়ে এক ব্যক্তি বলেছেন, মুঠোফোন রেখে শোয়েব বাইরে আছেন।