Thank you for trying Sticky AMP!!

সাইবার অপরাধের শিকার অর্ধেকের বেশিই আইনের সহায়তা নেন না

সাইবার অপরাধ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিকারী সংগঠন ‘সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন’ এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে। ছবি: প্রথম আলো

সাইবার অপরাধের শিকার অর্ধেকের বেশি ব্যক্তিই আইনের সহায়তা নেন না। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ ব্যক্তি এই অপরাধের বিরুদ্ধে কীভাবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় সে বিষয়েই জানেন না। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হবে না মনে করে অভিযোগ করেন না ২৫ শতাংশ ব্যক্তি।

সাইবার অপরাধ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিকারী সংগঠন ‘সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন’ এর এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তারা এই জরিপের ফলাফল তুলে ধরে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বালিঘড়ি মডেল কাঠামোর ভিত্তিতে জরিপটি করা হয়। এতে সাইবার অপরাধের শিকার ১৩৩ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা কোন ধরনের অপরাধের শিকার হয়েছেন, প্রতিকারের জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছেন কি না, প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা না নিলে তার কারণ, অভিযোগ করার পর তার অভিজ্ঞতা কী এবং প্রতিকারের জন্য কী করা উচিত বলে মনে করেন এই বিষয়গুলো সামনে আনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ। তাদের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাইবার অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীদের ৫১ দশমিক ১৩ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ পুরুষ।

অপরাধের ধরনের বিষয়ে কাজী মুস্তাফিজ বলেন, অ্যাকাউন্ট জাল ও হ্যাক করে তথ্য চুরির কারণে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ নারীরা। তবে এই মাধ্যমে নারীর চেয়ে পুরুষেরা বেশি শিকার হচ্ছেন বলে তাঁর মত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্টে অপপ্রচারের শিকার হন ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ নারী।

অনুষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ইলেকট্রনিক সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রক যুগ্ম সচিব আবুল মানসুর মোহাম্মদ সারফ উদ্দিন, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাশেদা রওনক খান এবং সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা এ কে এম নজরুল হায়দার প্রমুখ বক্তব্য দেন।