Thank you for trying Sticky AMP!!

সাতক্ষীরায় জামায়াত কর্মীর লাশ উদ্ধার, পুলিশের দাবি গোলাগুলিতে নিহত

ছবিটি প্রতীকী

সাতক্ষীরায় অহেদ আলী গাজীর (৪৩) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চ্যালারডেঙ্গী গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের দাবি, দুইদল সন্ত্রাসীর গোলাগুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন।

অহেদ আলীর বাড়ি গাজী ধুলিহর ইউনিয়নের তমালতলা গ্রামে। পুলিশের ভাষ্যমতে, তার বিরুদ্ধে দুইটি হত্যাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। পুলিশ তাঁর লাশের পাশ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও দুটি গুলি উদ্ধার করেছে।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাউদ্দিন আহম্মেদ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক হেদায়েদ হোসেন খবর পান উপজেলার ধুলিহর এলাকার একটি আমবাগানে সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের গোলাগুলি হচ্ছে। এই খবে পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযানে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে পুলিশ একটি গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে স্থানীয়রা জানায়, তার নাম অহেদ আলী গাজী । তাঁর বাড়ি তমালতলা গ্রামে। তিনি জামাতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

অহেদ আলীর স্ত্রী পারুল খাতুন জানান, তাঁর স্বামী অহেদ ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে বাড়িতে আসতেন না। তাদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতো। আজ শুক্রবার সকালে শুনছেন তার গুলিবিদ্ধ লাশ চ্যালডেঙ্গী তারক ঘোষের আমবাগানে পড়ে রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি জানান, অহেদ আলী গাজীর বাবা বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার বড়কুপট গ্রামে। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের তমালতলা গ্রামে এসে দীর্ঘদিন ধেরে বসবাস করছেন। জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায়ের পর ২০১৩ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরায় ব্যাপক ভাঙচুর ও ছাত্রলীগ নেতা সিটি কলেজের শিক্ষক মামুন হোসেনকে হত্যা করা হয়। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলি চালায়। গুলিতে অহেদ আলী গাজীর বাম হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গোপন চিকিৎসা করিয়ে তিনি সুস্থ হন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, অহেদ আলী গাজী বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম ও ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল তাঁর ভাতিজা যুবলীগ নেতা রাসেল কবীরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। এ দুটি হত্যা মামলাসহ তাঁর বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের কার্যালয়ের অফিস সহকারী আজিজুর রহমান বলেন, অহেদ আলী গাজী জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।