Thank you for trying Sticky AMP!!

সাত বিদেশির বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

আলেগ শেভচুক, দেনিস, নাজারি ভজনোক, ভালোদিমির ত্রিশেনসকি, ভ্যালেনতিন সোকলভস্কি, সেরগেই উকরাইনেতস। ফাইল ছবি

জালিয়াতির মাধ্যমে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার ঘটনায় এবার সাত বিদেশির বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডির) সাইবার তদন্ত বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রশান্ত কুমার সিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় গত সোমবার এই মামলা করেন।

এর আগে গত ৩ জুন খিলগাঁও থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাত বিদেশির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার আদালত।

সিআইডির এসআই প্রশান্ত কুমার সিকদার মামলার এজাহারে বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ১ জুন জানায়, গত ৩১ মে রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে বাড্ডায় এটিএম বুথ থেকে সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্রের দুই বিদেশি সদস্য অবৈধভাবে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা উত্তোলন করেন।

সিআইডির প্রশান্ত কুমার সিকদার আরও বলেন, ১ জুন তিনি জানতে পারেন, খিলগাঁও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে সংঘবদ্ধ ডিজিটাল জালিয়াত চক্রের দুই বিদেশি সদস্য মুখোশ ও টুপি পরে প্রবেশ করেন। গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় এটিএম বুথের নিরাপত্তাপ্রহরী তাঁদের আটক করার চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয়রা দেনিস ভিতোমস্কিকে আটক করে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে আসামি দেনিস জানান, তিনি এবং তাঁর সহযোগীরা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ডিজিটাল কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা চুরি ও উত্তোলন করে আসছেন। পরবর্তীতে ডিজিটাল জালিয়াতি চক্রের আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২ জুন জালিয়াত চক্রের ছয়জনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা হয়।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন, দেনিস ভিতোমস্কি (২০), নাজারি ভজনোক (১৯), ভালেনতিন সোকোলোভস্কি (৩৭), সের্গেই উইক্রাইনেৎস (৩৩), শেভচুক আলেগ (৪৬) ও ভালোদিমির ত্রিশেনস্কি (৩৭)। আর পলাতক আছেন ভিতালি ক্লিমচুক (৩১)।

খিলগাঁও থানার মামলায় আদালতকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এক প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে এই ছয় আসামি সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক জালিয়াত চক্রের সদস্য। ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা তোলার জন্য এই আসামিরা বাংলাদেশে এসেছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (পূর্ব) খিলগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কোন প্রক্রিয়ায় বিদেশিরা টাকা তুলেছিলেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে জব্দ করা ৩০টি এটিএম কার্ড তাঁরা বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছেন। পলাতক বিদেশিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।