Thank you for trying Sticky AMP!!

সিআইডি কর্মকর্তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি ভুয়া এএসপির, পরে কারাগারে

রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে এক ভুয়া সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাঁর নাম মিজানুর রহমান। সিআইডি বলছে, আসামি মিজানুর কখনো নিজেকে এএসপি, কখনো অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) ঢাকার আদালতে আসামি মিজানুরকে হাজির করে দশ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে সিআইডি। কেস ডায়েরি না থাকায় আদালত আগামী ১৯ জুন রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

মিজানুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মতিঝিল এলাকায় এএসপি পরিচয়ে হোটেল দ্য রহমানিয়া ইন্টারন্যাশনালে ওঠেন তিনি। তাঁর সঙ্গে হোটেলে ওঠেন কথিত স্ত্রী ফারজানা আক্তার। ৪০ দিন হোটেলে তাঁরা অবস্থান করেন। তাঁদের কাছে ভাড়া বাবদ ৬০ হাজার টাকা বিল পাওনা হয়। ভাড়া চাইলে উল্টো মিজানুর হোটেল কর্তৃপক্ষকে মিজানুর হুমকি দিয়ে বলেন, তিনি কোনো টাকা দেবেন না। উল্টো তাঁকে ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে তিনি হোটেল বন্ধ করে দেবেন।

নেত্রকোনার মদন উপজেলার বাসিন্দা মিজানুর (২৮) ও তাঁর কথিত স্ত্রীর (পলাতক) বিরুদ্ধে ভুয়া পরিচয়ে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ এনে বুধবার মামলা করেন সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হক। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, হোটেলে গিয়ে মিজানুরের কাছে নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি নিজেকে ৩১ তম বিসিএসের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার পরিচয় দেন। পরিচয় জানতে চাওয়ায় তখন তিনি তাঁকে হুমকি দেন।

এজাহারে বলা হয়, ‘আসামি মিজানুর বলেন যে, একজন এএসপির সাথে কথা বলার আগে স্যালুট দিতে হয় এটাও কি শিখিয়ে দিতে হবে? আদালতকে পুলিশ জানিয়েছে, মিজানুর নিরীহ লোকদের কাছে নিজেকে এএসপি পরিচয় দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সিআইডি বলছে, মিজানুরের সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।