Thank you for trying Sticky AMP!!

সিরাজগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-ছেলে খুন

সিরাজগঞ্জে বিবাদমান জমিতে ধান কাটার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা ও ছেলে নিহত ও অপর ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার রতনকান্দী ইউনিয়নের বাহুকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন বাহুকা গ্রামের এজবাহার আলী (৬০) ও তাঁর ছেলে রাসেদুল ইসলাম ওরফে আসিফ (২৫)। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, এজবাহার আলীর লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
থানা-পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, জমিজমা, পূর্বশত্রুতা ও গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাহুকা গ্রামের এজবাহার আলীর সঙ্গে একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার শফিকুল ইসলাম ও ছাত্তার মেম্বারের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে এর আগে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার মারামারিও হয়। গতকাল সকালে এজবাহার আলী তাঁর তিন ছেলেকে নিয়ে বিতর্কিত জমিতে ধান কাটতে যান। এ সময় শফিকুল ও ছাত্তার মেম্বারের নেতৃত্বে কিছু লোক অতর্কিতে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে ফালাবিদ্ধ হয়ে এজবাহার ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিন ছেলে রেজাউল ইসলাম, মোমিন মিয়া ও রাসেদুল ইসলামসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রেজাউল ইসলাম, মোমিন মিয়া, রাশেদুল ইসলামসহ চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রথমে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা-বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়। পথে চন্দ্রা এলাকায় রাসেদুল মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে শফিকুল, ছাত্তার মেম্বার ও তাঁদের লোকজন পলাতক।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী থানার উপপরিদর্শক আবদুল বারিক বলেন, একতরফা হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। বাকি দুজনের অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। ধান কাটাকে সামনে রেখে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে দুই পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।