Thank you for trying Sticky AMP!!

স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন

ঝুলন্ত লাশ। ছবিটি প্রতীকী

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ফারুক মিয়া (৩৯) ও রোজিনা আক্তার (৩২) নামের এক দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারণা করছে। তবে রোজিনার বাবা দাবি করছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

আজ মঙ্গলবার উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ চাপিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেশীরা জানান, ফারুক ও রোজিনাকে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে কে বা কারা হত্যা করে পালিয়ে যায়। পাশেই চাচার ঘরে ঘুমিয়ে থাকা ওই দম্পতির মেজো মেয়ে নুসরাত আজ সকালে মা–বাবার ঘরে গিয়ে তাঁদের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে। এ সময় তার চিত্কারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে তারা বিষয়টি বাঙ্গরা বাজার থানায় জানায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেশী দুই নারী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। একটি মহল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে আত্মহত্যা বলার চেষ্টা করছে।

ফারুক মিয়ার ভাই শহীদ মিয়া জানান, ফারুক ঢাকায় থাকতেন। গতকাল রাতে কখন ফারুক বাড়ি এসেছিলেন, তাঁরা জানেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি ভাই ও ভাবির লাশ দেখতে পান। ফারুক ও রোজিনার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ হতো বলে শহীদ দাবি করেন।

রোজিনার আক্তারের বাবা একই গ্রামের হারুন মিয়া বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো ঝামেলা ছিল না। আমার মেয়ে ও তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে খুনিরা আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। আমি এই ঘটনার তদন্ত চাই। ওরা ছোট ছোট তিনটি মেয়েকে রেখে মরতে পারে না।’

বাঙ্গরা বাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই দম্পতির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।