Thank you for trying Sticky AMP!!

সৎবোনের শরীর অ্যাসিডে ঝলছে দেওয়ার অভিযোগ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধে গত শুক্রবার রাতে এক ব্যক্তি তাঁর সৎবোনের শরীর অ্যাসিডে ঝলছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের বিছানায় অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছেন ওই বোন।

মালেকার পরিবার, এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের পূর্ব রামখানা তালুকদারপাড়ার মৃত হয়রত আলীর ছেলে হায়দার আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সৎবোন মালেকা বানুর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হায়দার, তাঁর দুই ছেলে দুলাল হোসেন ও মিঠু সিঁধ কেটে মালেকার শোয়ারঘরে প্রবেশ করেন। পরে তাঁরা মালেকার শরীরে অ্যাসিড দিয়ে দরজা খুলে পালিয়ে যান। অ্যাসিডে ঝলসে যাওয়া শরীরের প্রচণ্ড যন্ত্রণায় মালেকা চিৎকার করে ঘর থেকে বের হয়ে পাশের বোরো ধানখেতের কাদাপানিতে গড়াগড়ি দিতে থাকেন। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর হোসেন, রোজিনা আক্তার, স্বপ্না খাতুনসহ অনেকেই ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী পুকুরের পানিতে কিছুক্ষণ নামিয়ে রাখেন। পরে ভোরে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহত মালেকা বানু বলেন, ‘অন্যান্য দিনের মতো গত শুক্রবার রাতে ঘুমিয়ে পড়লে সৎভাই ও ভাতিজারা অ্যাসিড দিয়ে আমার শরীর ঝলসে দিয়েছে। এর আগে ২০০৯ সালে তারা একবার আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। সে সময় আমাকে বাঁচাতে এসে বোন নুরজাহান তাঁদের হাতে প্রাণ হারান। আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও তারা আমার দুই পা পিটিয়ে ভেঙে দিয়েছে।’

এ ব্যাপারে হায়দার আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিআরএম মোকসেদুর রহমান বলেন, এটি অ্যাসিড (ক্যামিকেল বার্ন)। এতে তাঁর শরীরের প্রায় ২৭ ভাগ ঝলসে গেছে। সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।