Thank you for trying Sticky AMP!!

হত্যার পর গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে গেলেন স্বামী, অভিযোগ পরিবারের

চাঁদপুরে গৃহবধূ তানজিনা আক্তারের (২২) লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তানজিনার পরিবারের দাবি, হত্যার পর তাঁর স্বামী লাশটি হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে গেছেন।

এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা মুনাফ মুন্সি বাদী হয়ে তানজিনার স্বামী জুয়েল খানকে (৩০) আসামি করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আজ শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে গৃহবধূর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জুয়েল বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য তানজিনাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এ বিষয়ে জুয়েলের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি যৌতুক ও দুটি নারী নির্যাতনের মামলাও করেছিলেন তানজিনা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় যৌতুকের দাবিতে আবারও তানজিনাকে নির্যাতন করেন জুয়েল। একপর্যায়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ফেলে যান তিনি। কিন্তু জুয়েল তানজিনার স্বজনদের ফোন করে জানান, তানজিনা আত্মহত্যা করেছে।

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ আহম্মদ কাজল বলেন, ‘কেউ একজন তানজিনাকে হাসপাতালের নিচতলার বারান্দায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে আমরা অজ্ঞাত হিসেবে ভর্তি করে পরীক্ষা করে দেখতে পাই তিনি মৃত। পরে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই।’

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে গৃহবধূর লাশ হাসপাতাল থেকে আনা হয়েছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। তানজিনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কিন্তু কে বা কারা হত্যা করেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গৃহবধূর স্বামী জুয়েল পলাতক আছেন। অপরাধী শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জুয়েলের বিরুদ্ধে তানজিনার করা যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মামলা তুলে নেওয়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে জুয়েল খান ক্ষিপ্ত হয়ে তানজিনাকে গলা টিপে হত্যা করেছেন।