Thank you for trying Sticky AMP!!

হামলাকারীদের একজন ফেনীর ছাত্রলীগ নেতা?

গাড়িবহরে হামলায় অংশ নেওয়া এক যুবক l ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জড়িত এক যুবকের পরিচয় শনাক্ত করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তাঁর নাম ওসমান গণি ওরফে রিয়েল। তিনি ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। গত শনিবার বিকেলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফেনী সদর উপজেলার মোহাম্মদ আলী বাজার অতিক্রম করার সময় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় ছাত্রলীগ নেতা ওসমানসহ কয়েকজন অংশ নেন বলে বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছেন ফেনী জেলা বিএনপির নেতারা। তবে তাঁরা ভয়ে নাম উদ্ধৃত হয়ে কিছু বলতে চাননি। ওই হামলায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীদের ইট ও লাঠিসোঁটার আঘাতে সেখানে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।

গতকাল রোববার দুপুরে মোহাম্মদ আলী বাজারে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও সড়কের পাশের কয়েকজন দোকানির সঙ্গে কথা বলে প্রথম আলো। নাম না প্রকাশের শর্তে তাঁদের মধ্যে তিনজন প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বাজার অতিক্রম করার সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখেছেন তাঁরা। এর মধ্যে কয়েকজন হামলায় অংশ নিয়েছেন। স্থানীয় অন্য কোনো লোকের পক্ষে এ ধরনের কাজ করার সাহস হবে না।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গতকাল কয়েক দফা নানা মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতা ওসমান গণির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। পরে বিকেলে মুঠোফোনেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। গত রাত নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল।

হামলার ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে যে যুবকের ছবি দেখানো হয়েছে, সেটা ওসমানের নয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলা করবেন কেন। ওই এলাকার বিএনপির কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের খেপিয়ে তোলার অপচেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকা সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানান ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী। তিনি বলেন, তারপরও যেহেতু সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, সে কারণে বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন তাঁরা।

হামলার ওই ঘটনায় মামলা করা হবে কি না, জানতে চাইলে ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন ওরফে মিস্টার মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, এটি কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হামলায় অংশ নেওয়া যুবকদের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে এটি ঘটেছে। এর বেশি কিছু বলার নেই। তবে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান তিনি।