Thank you for trying Sticky AMP!!

হেফাজত, জামায়াতকে দুষল হিজবুত তওহিদ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম, জামায়াত ও স্থানীয় এক নেতার ইন্ধনে গতকাল সংঘর্ষ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে হিজবুত তওহিদ। তাঁদের দাবি, সংঘর্ষে তিন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও ফাঁসি দাবি করেছেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে হিজবুত তওহিদের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর মেয়ে রুফায়দা পন্নী এই দাবি করেন।

সম্মেলনে রুফায়দা জানান, ১৯৯৫ সালে টাঙ্গাইলে তাঁর বাবা হিজবুত তওহিদ নামের অরাজনৈতিক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। বাবার মৃত্যুর পর এর দায়িত্ব নেন তাঁর স্বামী মো. সেলিম। তাঁর স্বামী সেলিম কয়েক দিন আগে সোনাইমুড়ীতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তাঁর নিজ বাড়িতে একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম, জামায়াত ও স্থানীয় এক নেতা এলাকার মানুষকে মসজিদ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেন। অপপ্রচার চালিয়ে তাঁরা গ্রামবাসীকে খেপিয়ে তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রুফায়দা অভিযোগ করেন, এই অসন্তোষের জের ধরে হেফাজত, জামায়াত ও স্থানীয় এক নেতার নেতৃত্বে গ্রামের লোকজন যখন জড়ো হচ্ছিলেন, তখন দলের পক্ষ থেকে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু পুলিশের সামনেই তাঁর স্বামী সেলিমের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। সেখানে তাঁদের তিন কর্মীকে গলা কেটে এবং আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। হামলায় তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য আহত হন। পরে তাঁদের থানায় নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

রুফায়দা বলেন, হিজবুত তওহিদ হামলা করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর পরিবেশিত হয়েছে, তা মিথ্যা। তাঁর দাবি, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিত ও অসত্যের বিরুদ্ধে হিজবুত তওহিদ বরাবর আন্দোলন করেছে।

সম্মেলনে দলের মুখপাত্র এস এম শামসুল হুদা, সাহিত্য সম্পাদক রিয়াদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

রুফায়দা সংগঠনটির সদস্য ও দলের প্রচারিত একটি দৈনিকের উপদেষ্টা।

গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীর হাট নতুন বাজার এবং পাশের পোরকরা গ্রামে হিজবুত তওহিদ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সংগঠনের দুই কর্মী ও একজন গ্রামবাসী নিহত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে। হামলায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ অন্তত ১৫০ জন আহত হয়েছেন। প্রায় দিনভর সংঘর্ষের সময় গ্রামবাসীর ঘেরাওয়ের কবলে পড়া হিজবুত তওহিদের শতাধিক নেতা-কর্মীকে রাতে উদ্ধার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: