Thank you for trying Sticky AMP!!

৫০ কেটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার

আট হাজার গ্রাহকের প্রায় ৫০ কেটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সরোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে তাঁকে খুলনার দৌলতপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

সরোয়ার হোসেন খুলনা শিপইয়ার্ড এলাকার সোলাইমান সরদারের ছেলে। তিনি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ‘চলন্তিকা যুব সোসাইটি’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক। ওই প্রতিষ্ঠানের আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে সরোয়ার হোসেন কালিয়ায় চলন্তিকা যুব সোসাইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। এর মাধ্যমে তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদি আমানত, মাসিক আমানত সংগ্রহ ও ঋণদান কর্মসূচি শুরু করেন।

গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বড় কালিয়া গ্রামের শ্যামল কুমার ঘোষ নড়াইল আদালতে ১৯ মে একটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সরোয়ার হোসেনকে খুলনা দৌলতপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ৯ এপ্রিল কালিয়া উপজেলার জোকা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক সাজ্জাদুর রহমান বাদী হয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. খবিরুজ্জামানকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় মামলা করেন।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শমসের আলী বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মো. খবিরুজ্জামান পলাতক।

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, চলন্তিকা যুব সোসাইটি ২০০৪ সালে কালিয়া উপজেলায় বিভিন্ন মেয়াদি ঋণদান কার্যক্রম কাজ শুরু করে। এর প্রধান কার্যালয় খুলনায় বলে সেখানকার কর্মকর্তারা দাবি করে আসছেন।

শ্যামল কুমার ঘোষ বলেন, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা গ্রাহকদের আমানতকৃত টাকা ছয় বছরে দ্বিগুণ এবং দশ বছরে তিন গুণ মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এখন পর্যন্ত আট হাজার গ্রাহক রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। প্রায় ৫০ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার পর গত ৩ এপ্রিল পালিয়ে গেছেন এর কর্মকর্তারা।