৫ কোটি টাকার মদ আটকের ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ
পাঁচ কোটি টাকার বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তরা ক্লাবের নির্বাহী সদস্য ও বার ইনচার্জ ইমরান আহমেদ এবং বার ম্যানেজার মো. মোজাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
আজ রোববার রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দার প্রধান কার্যালয়ে বেলা দুইটা থেকে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংস্থাটি। সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংস্থাটির সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে।
গত সোমবার দিনভর অভিযানে ঢাকার অভিজাত ক্লাব উত্তরা ক্লাবে অভিযান চালিয়ে পাঁচ কোটি টাকার বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা। ওই ক্লাবে অবৈধ মদ ও মাদকদ্রব্য রয়েছে—এমন অভিযোগে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
শুল্ক গোয়েন্দার একটি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে উত্তরা ক্লাবের দুই কর্মকর্তার কাছে জব্দ করা মদের সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার তাঁদের তলব করে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল সংস্থাটির পক্ষ থেকে। ওই চিঠিতে বলা হয়, বিমানবন্দর থানার পুলিশ সদস্য, আনসার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৯ জুলাই বেলা আড়াইটায় উত্তরা ক্লাব লিমিটেডে অভিযান পরিচালনা করে শুল্ক গোয়েন্দা। তল্লাশি দল ক্লাবের ৫ম তলায় অবস্থিত গুদামে রক্ষিত মদকদ্রব্যের মজুত দেখতে চাইলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রতিযোগিতা না করে কালক্ষেপণ করা হয়। প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর তালা ভেঙে দেওয়ার পর তল্লাশি দল গুদামে প্রবেশ করে। তারা সেখানে রক্ষিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদের মজুতের পক্ষে বৈধ দলিলাদি দেখতে চাইলে কর্তৃপক্ষ তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। এ সময় তল্লাশি দল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩ হাজার ৪৫টি মদের বোতল এবং ২ হাজার ৫৪১টি বিয়ারের ক্যান আটক করে। ওই সব মাদকদ্রব্যের বিষয়ে আমদানি ও ক্রয়সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলাদিসহ সশরীরে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯-এর সেকশন ২৬ (ক) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ক্ষমতা বলে এই নোটিশ জারি করা হয়।