Thank you for trying Sticky AMP!!

৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে হয়রানি

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে পুলিশকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। থানা–পুলিশ জানায়, এক ব্যক্তি ভুয়া পরিচয় দিয়ে ফোন করে চাঁদাবাজির ভুল তথ্য দেয় পুলিশকে।

সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হুসেন গতকাল শনিবার রাতে এ তথ্য দেন।

সোনাগাজী মডেল থানার এসআই নুরুল করিম বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী পরিচয় দিয়ে জনৈক শহীদ উল্যাহ নামের এক যুবক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। শহীদ উল্যাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সোনাগাজীতে কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তি মিলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে চাঁদাবাজি করছেন। প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয় না। সংবাদ পেয়ে তিনি (নুরুল করিম) থানার এসআই আনোয়ার হুসেনকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠান।

এসআই আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পর তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তিনি অভিযোগের কোনো সত্যতা পাননি। তিনি গিয়ে দেখেন, শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দুজন লোক নিয়ম মেনে ইজারাদার ও শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ টাকা করে মোট ২০ টাকা নিচ্ছেন।

পরে সংবাদদাতার বিষয়ে পুলিশের সন্দেহ হয় যে ওই লোক মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের স্বার্থ আদায়ের লক্ষ্যে পুলিশকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। তখন পুলিশ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে তথ্যদাতাকে ফোন করে থানায় আসতে বলে। থানায় আসার পর পুলিশ জানতে পারে ৯৯৯–এ ফোন করা ব্যক্তির নাম শহীদ উল্যাহ নয়। তাঁর নাম মো. ডলার। তিনি উপজেলার চর চান্দিনা এলাকার বাসিন্দা এবং সিএনজিচালিত অটেরিকশার চালক। পরে ৯৯৯-এর অপব্যবহার করার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এসআই আনোয়ার হুসেন আরও বলেন, এরপর গতকাল সন্ধ্যায় ডলারের উপস্থিতিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার কথা বলে ডলারের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। বিষয়টি সমাধানের পর থানার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বইতে একটি নোট দেওয়া হয়।

মো. ডলার বলেন, তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না প্রতিশ্রুতি দেন।

সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ হোসেন বলেন, কিছু লোক বিনা কারণে জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন করে অভিযোগ করেন। পুলিশ মাঠে গিয়ে বেশির ভাগ অভিযোগ মিথ্যা পায়। এমনকি অভিযোগ করার পর অভিযোগকারী ফোন বন্ধ করে দেন। এতে পুলিশের দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত ঘটে।