Thank you for trying Sticky AMP!!

খোকসায় যুবলীগ নেতার ভিডিও ফেসবুকে

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা যুবলীগের এক নেতার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সাংসদ ও যুবলীগের এক নেতাকে মারধর করার জন্য খোকসা বাজারে দলবল নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন তিনি।

গত সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (গত বছর জেলা কমিটির দেওয়া) আবু ওবাইদা শাফি নিজ ফেসবুক পাতায় ভিডিওচিত্রটি আপলোড করেন। তিনি মুঠোফোনে বলতে থাকেন, ‘এখানে তো দাবুড় হচ্ছি খালি, কানাসহ (আল মাসুম মোর্শেদ, উপজেলা যুবলীগের কেন্দ্র অনুমোদিত আহ্বায়ক) এমপিকে (স্থানীয় সাংসদ আবদুর রউফ) দাবড়-নো হবি। আমার ফেসবুকে লাইভে দেখাচ্ছি, দেখেন। দুই-তিন শ লোক নিয়ে বেকিমেকি লাঠিসোঁটা নিয়ে...রাস্তায় এখন অবস্থান করছি।’ এরপর তিনি আরও বলেন, ‘জেলা কমিটি আমার আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ না হওয়ায় সেটা ভাঙি দি কমিটি দিছে।’

আরজে জায়েদ নামের আরেকজন ওই ভিডিওর নিচে মন্তব্য করেছেন, ‘এগিয়ে যান। আমরা আছি আপনার সাথে।’

ভিডিওচিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সাংসদ আবদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমি ঢাকায় আছি। খোকসায় যাচ্ছি। আমাকে খোঁজা লাগবে না। আমার সামনে আসুক।’ তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন।

উপজেলা যুবলীগের নতুন কমিটির আহ্বায়ক আল মাসুম মোর্শেদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে যা বলা হয়েছে, তাতে আমি মামলা করব।’

ফেসবুকের ভিডিওচিত্র সম্পর্কে আবু ওবাইদা শাফি বলেন, ‘আমি তখন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কমিটি নিয়ে কথা বলছিলাম। সেখানে আপত্তিকর কিছু বলা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্র অমান্য করে নতুন কমিটি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে রাতে শহরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল করা হয়েছে। সেখানে নেতা-কর্মীরা হয়তো নানা কথা বলেছেন।

সম্প্রতি খোকসা উপজেলা যুবলীগের ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে আল মাসুম মোর্শেদকে আহ্বায়ক এবং আব্দুল মান্নান ও বাপ্পী বিশ্বাসকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়।

আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদনপত্র গত সোমবার নেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার সময় সাংসদ আবদুর রউফ উপস্থিত ছিলেন। এ কমিটিতে বাদ পড়েন নেতা শাফি ও তাঁর অনুসারীরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাফি ও তাঁর অনুসারীরা রাস্তায় নেমে লাঠিসোঁটা হাতে সাংসদ ও নতুন কমিটির নেতাদের খুঁজতে থাকেন।

কয়েক দিন আগে ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম তাঁর বড় ভাইয়ের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে শটগানের গুলি ছুড়ে উল্লাস করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই শাফির ভিডিও ছাড়া হলো।