Thank you for trying Sticky AMP!!

'ধর্ষণের পর' ছাত্রীকে বাড়ির পাশে ফেলে গেল তারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার একটি গ্রামে সারা রাত আটকে রেখে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর তার বাড়ির পাশে ফেলা রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে ধর্ষণের বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছে ওই কিশোরী। পরে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল। পথে ফারুক মিয়া (২৮) তাঁর দুই সহযোগী শাহরিয়া ও মিঠু পাঠানের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে তাঁর (ফারুকের) বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সারা রাত আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন ফারুক। এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায় হলেও ছাত্রীটি বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিশোরীর মা সব আত্মীয়স্বজনের বাসায় খোঁজ করেও মেয়ের সন্ধান পাননি। পরের দিন সকালে ফারুক মিয়া ও তাঁর সহযোগীরা মেয়েটিকে চলন্ত অটোরিকশা থেকে তার বাড়ির পাশে ফেলে চলে যান। এ সময় কিশোরীর আর্তচিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।

থানা সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার মেয়েটির মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করা কসবা থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি ফারুক মিয়া। অপর দুই আসামি শাহরিয়া ও মিঠু পাঠান। তাঁরা সবাই পলাতক।

কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, ছাত্রীটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ফারজানা আক্তারের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জবানবন্দী দিয়েছে। রাতভর ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি আদালতের কাছে বলেছে মেয়েটি।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে তার মা থানায় মামলা করেছেন। এতে ফারুকসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।