Thank you for trying Sticky AMP!!

মামুনুল হক ৫ মামলায় জামিন পেলেন

মামুনুল হক

পুলিশের কাজে বাধা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা পৃথক পাঁচটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক জামিন পেয়েছেন। তাঁর জামিন প্রশ্নে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন।

আইনজীবী সূত্র বলছে, ঢাকার পল্টন মডেল থানায় করা চারটি ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় করা একটি মামলায় জামিন চেয়ে গত বছর হাইকোর্টে আবেদন করেন মামুনুল হক। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত জামিন প্রশ্নে রুল দেন। রুলের শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়। ২০১৩ ও ২০২১ সালে মামলাগুলো করা হয়।  

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ৪১টি মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। পাঁচ মামলায় জামিনের মধ্য দিয়ে ১৮টি মামলায় তিনি জামিন পেলেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা ফারাহ হেলাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

পরে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পল্টন মডেল থানায় করা চারটি এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের করা একটি মামলাসহ মোট এই পাঁচ মামলার এজাহারে মামুনুল হকের নাম নেই। তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও নেই। দুই বছর ধরে তিনি কারাগারে আছেন, তদন্ত শেষ হয়নি—এসব যুক্তি শুনানিতে তুলে ধরেছি। হাইকোর্ট পাঁচ মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ৪১টি মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। পাঁচ মামলায় জামিনের মধ্য দিয়ে ১৮টি মামলায় তিনি জামিন পেলেন।’

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে একটি রুমে কথিত স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল ও তাঁর কথিত স্ত্রীকে ছিনিয়ে নেন। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ।

Also Read: সোনারগাঁয়ের রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে ঘেরাও