Thank you for trying Sticky AMP!!

শেষ হলো ছায়ানটের দুই দিনের রবীন্দ্র-উৎসব

সম্মেলক নৃত্যগীত ‘মধুর মধুর ধ্বনি বাজে’ দিয়ে শুরু হয় রবীন্দ্র-উৎসব ১৪৩০–এর শেষ পর্ব

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে বসে ১৮৯৫ সালে লিখেছিলেন ‘মধুর মধুর ধ্বনি বাজে/ হৃদয়কমলবনমাঝে’। সেই মধুর ধ্বনি বাজে নৃত্যগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হলো সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের দুই দিনব্যাপী আয়োজিত রবীন্দ্র-উৎসব ১৪৩০–এর শেষ পর্ব। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এ উৎসবে মঙ্গলবার ছিল দ্বিতীয় দিন। আগের দিন সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে শুরু হয়েছিল এ উৎসব।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছায়ানটের বড়দের দলীয় নৃত্যগীতের পর শুরু হয় একক পরিবেশনা। ‘কৃষ্ণ কলি আমি তারেই বলি’ গাইলেন শিল্পী নির্ঝর চৌধুরী। ‘হে সখা বারতা পেয়েছি মনে মনে তব নিশ্বাসপরশনে’ গেয়ে শোনালেন ফারহিন খান জয়িতা। একে একে পরিবেশিত হলো ‘কাঁদালে তুমি মোরে ভালোবাসারই ঘায়ে, যখন এসেছিলে’ অথবা প্রেম পর্বের বেহাগ রাগের ‘এসেছ অদেখা বন্ধু’র মতো অনেক গান। বুলবুল ইসলাম গাইলেন ‘আমার এ পথ তোমার পথের থেকে অনেক দূরে’। ফাহিম হোসেন চৌধুরী পরিবেশন করলেন  ‘নির্জন রাতে নিঃশব্দ চরণ পাতে কেন এলে’। মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়নার কণ্ঠে উঠে এল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিচিত্র পর্বের পিলু রাগের সংগীত ‘আজ তারায় তারায় দীপ্ত শিখা’।

সম্মেলক সংগীত পরিবেশন করেছে ছোটদের দল

মানসী সাধু, লিলি ইসলাম, কাঞ্চন মোস্তফা, চঞ্চল বড়াল, অভয়া দত্তর মতো আরও অনেক শিল্পীর একক পরিবেশনায় মুগ্ধ হলেন শ্রোতারা। ২১টি একক গান, ৪টি সম্মেলক পরিবেশনা আর ৩টি আবৃত্তি নিয়ে সাজানো হয়েছিল দ্বিতীয় দিনের আয়োজন। গানের ফাঁকে ফাঁকে আবৃত্তি নিয়ে এলেন শিল্পীরা। ক্ষণিকা থেকে কবির বয়স আবৃত্তি করলেন উম্মে হাবিবা।

ছায়ানট ছোটদের দলের পরিবেশনায় ছিল দুটি গান ‘গানগুলি মোর শৈবালেরই দল’ আর ‘গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ’। সবশেষ ছায়ানটের বড়দের দলের সম্মেলক নৃত্যগীত ‘মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে’ পরিবেশিত হয়। এরপর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ছায়ানটের দুই দিনের রবীন্দ্র-উৎসব ১৪৩০।

অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও অংশ নিয়েছেন আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল। এবারের উৎসবে সারা দেশ থেকে দুই শতাধিক শিল্পী অংশ নিয়েছেন।