Thank you for trying Sticky AMP!!

অনেক যুক্তিতর্কের পর তরুণীর লাশ নিল এক থানা

প্রতীকী ছবি

এক তরুণীর মস্তকবিহীন লাশ পাওয়ার পর সেখানকার দুটি থানাই তা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করে। দুই থানাই বলা শুরু করে, এটা তাদের আওতাধীন এলাকা নয়। এ নিয়ে কয়েক ঘণ্টার যুক্তিতর্কের পর একটি থানা লাশটি গ্রহণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায়।

গতকাল বিকেলে এক তরুণীর মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া যায় সরাইল উপজেলার পানীশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর এবং আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বগইর গ্রামের মাঝামাঝি হাওর এলাকায়। তরুণীর আনুমানিক বয়স ২০ থেকে ২২ বছর।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিটঘর ও বগইর গ্রামের মাঝামাঝি হাওর এলাকার রোপা আমন খেতে গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে কয়েকজন কৃষক এক তরুণীর মস্তকবিহীন লাশ দেখতে পান। পরে গ্রামবাসী দুই থানার পুলিশকে খবর দেন।

লাশ পড়ে থাকার স্থানটি কোন থানার অন্তর্ভুক্ত, তা নির্ধারণ নিয়ে সরাইল ও আশুগঞ্জ থানার পুলিশের মধ্যে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। দুই থানাই প্রথমে স্থানটি তাদের নয় দাবি করে লাশ নিতে অনীহা প্রকাশ করতে থাকে। পরে রাত নয়টার দিকে সরাইল থানার পুলিশ তরুণীর লাশ উদ্ধার করে তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়।

পানীশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘লাশের মাথা না থাকায় তরুণীকে চেনা যাচ্ছে না।’ লাশটি তাঁদের এলাকার নয় বলেও তিনি দাবি করেন।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা অন্য কোথাও তরুণীকে হত্যা করে গত শুক্রবার রাতে এই নির্জন এলাকায় লাশ ফেলে দিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওসি শাহাদত আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে লাশের পরিচয় পাওয়ার চেষ্টা করা হবে। এরপর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হবে।