Thank you for trying Sticky AMP!!

অবশেষে সীমানাপ্রাচীর হলো বীরপুর বিদ্যালয়ে

নরসিংদী পৌর এলাকার বীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। বিদ্যালয়টি রেললাইনের পাশে অবস্থিত। এত দিন সীমানাপ্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করত।
২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রথম আলোয় ‘রেললাইনের পাশে প্রাচীরবিহীন বিদ্যালয়, ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে সীমানাপ্রাচীর ও একটি একতলা ভবন নির্মাণ করে দেয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯২৯ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ১৯৯৪ সালে একটি দ্বিতল ও ২০০৮ সালে একটি একতলা ভবন নির্মিত হয়। দোতলা ভবনের শ্রেণিকক্ষের দেয়াল ও ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখানেই ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছিল। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের চারপাশে সীমানাপ্রাচীর না থাকায় সুযোগ পেলেই শিক্ষার্থীরা দৌড়ে রেললাইনের পাশে টং দোকানে যেত। অনেক সময় না বুঝে খেলার ছলে তারা চলন্ত ট্রেনে ঢিলও ছুড়ত।
সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের একতলা ভবন ও ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের চারপাশে সীমানাপ্রাচীরের নির্মাণকাজ শুরু হয়। সম্প্রতি কাজ শেষ হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মীর নাসরীন সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়ের প্রথম ভবনটি জরাজীর্ণ এবং সীমানাপ্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে ছিল। পরে বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তদারকিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান মণ্ডল বলেন, বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজগুলো সম্প্রতি শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা তা ব্যবহার করছে।