Thank you for trying Sticky AMP!!

অভিযোগ শুনতে সীতাকুণ্ড থানায় অভিনব ব্যবস্থা

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সীতাকুণ্ড থানায় দূরত্ব বজায় রাখার অভিনব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছবি: প্রথম আলো

থানার মূল ফটকের একপাশে হেল্প ডেক্সের একটি বুথ। সেখানে রাখা হয়েছে একটি মাইক্রোফোন ও সাউন্ডবক্স। অন্যপাশে দায়িত্ব পালন করছেন একজন কনস্টেবল। কেউ অভিযোগ জানাতে বা পুলিশের সেবা চাইতে এলে ২৫ ফুট দূর থেকে মাইক্রোফোনে দায়িত্বরত কর্মকর্তার (ডিউটি অফিসার) সঙ্গে কথা বলবেন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দূরত্ব বজায় রাখার এই অভিনব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সীতাকুণ্ড থানায়।

সীতাকুণ্ড থানায় এখন কোনো সেবাপ্রার্থী যেতে চাইলে প্রথমে কারণ জিজ্ঞেস করেন হেল্প ডেস্কের পাশে থাকা কনস্টেবল। তিনি সেবা প্রার্থীকে বুথে পাঠিয়ে ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। মাইক্রোফোনে সেবাপ্রার্থী তাঁর অভিযোগের বিষয়টি বলবেন অন্তত ২৫ ফুট দূর থেকে। অপর প্রান্তে ডিউটি অফিসার তা শুনবেন। আবার ডিউটি অফিসার প্রতি–উত্তরে যা বলবেন, সেবা প্রার্থী তা শুনবেন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত বুধবার থেকে এ ব্যতিক্রমী উদ্যেগ নিয়েছে সীতাকুণ্ড থানা।

থানা সুত্র জানায়, সীতাকুণ্ড থানা কার্যালয়ের ভেতর পুলিশ সদস্যদের ব্যারাক রয়েছে। একজন পুলিশ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক সুমন বনিক প্রথম আলোকে বলেন, থানায় আসা সেবাপ্রার্থীরা সবাই মামলা কিংবা সাধারণ ডায়েরি করেন না। অনেকে পরামর্শও নিতে আসেন। এ ছাড়া একজনের সঙ্গে অনেক লোক এসে থানায় ভিড় করেন। সেবাপ্রার্থীদের অবাধে ঘোরাফেরার ফলে পুলিশ সদস্যদের জন্য করোনাভাইরাস সংক্রমনের আশঙ্কা থাকে। তাই বুথটি মুল ফটকে বসানো হয়েছে।

সুমন বণিক বলেন, সেবাপ্রার্থী ও ডিউটি অফিসারের কথোপকথনে মামলা কিংবা সাধারণ ডায়েরির সিদ্ধান্ত হলে সেবাপ্রার্থী নিজে লিখে জমা দিতে পারেন কিংবা ডিউটি অফিসার তাঁর বয়ান শুনে লিখে দিতে পারেন। পরে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে তা গ্রহণ করে নথিভুক্ত করা হবে। সেবাপ্রার্থী চলে যাওয়ার পর বুথে জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়াবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্টেবল।

সম্প্রতি সীতাকুণ্ডে দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা এখন চিকিৎসাধীন।