Thank you for trying Sticky AMP!!

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আসা আরও একজনের করোনা শনাক্ত

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের অনুমতিপত্র নিয়ে আটকা পড়া যাত্রীরা যাতায়াত করছেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরা আরও একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। এ নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আসা মোট ৩৩ ভারতফেরত বাংলাদেশি করোনা পজিটিভ হলেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনের দ্বিতীয়বারের (ফলোআপ) নমুনা পরীক্ষার ফল ইতিমধ্যে নেগেটিভ এসেছে।

সর্বশেষ করোনা শনাক্ত ভারতফেরত ওই ব্যক্তি (পুরুষ) ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ৪২ বছর। তিনি কিডনির চিকিৎসার জন্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের বেঙ্গালুরুতে যান। তাঁর স্ত্রী করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। তারপরও আজ দুপুরে করোনায় আক্রান্ত স্বামীর সঙ্গে তিনিও আইসোলেশন ওয়ার্ডে যান। করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কী করব। স্ত্রীকে কোথায় রাখব। আমরা দুজন তো একসঙ্গেই ছিলাম। গতকাল সোমবার আমাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন পূর্ণ হয়েছে। এরপরই করোনা পজিটিভ হয়েছি বলে খুদে বার্তা এল। ভেবেছিলাম, বাড়ি ফিরব। কিন্তু স্ত্রীসহ আইসোলেশনে ফিরতে হলো।’

করোনা শনাক্ত ভারতফেরত ওই ব্যক্তি (৪২) ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা। তিনি কিডনির চিকিৎসার জন্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের বেঙ্গালুরুতে যান।

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আসা নতুন করোনা পজিটিভ ওই ব্যক্তিকে এত দিন জেলার বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ২ জুন করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ তাঁর নমুনার ফলাফল পজিটিভ আসে। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল থেকে গতকাল ৭ জুন পর্যন্ত গত ৪৩ দিনে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১ হাজার ৪৬২ জন বাংলাদেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের নাগরিক রয়েছেন উল্লেখ করে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-এ আলম প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬ ভারতফেরত ব্যক্তি ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন শেষে ছাড়পত্র নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। বর্তমানে জেলায় ৩০৭ জন কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।