Thank you for trying Sticky AMP!!

আগুনে দগ্ধ মায়ের মৃত্যু, ছেলে গ্রেপ্তার

আগুন

শেরপুরের শ্রীবরদীতে আগুনে দগ্ধ হওয়ার পাঁচ দিন পর এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ হনুফা বেগম (৪০) নামের ওই গৃহবধূর ছেলেকে (১৭) গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় হনুফার বড় ভাই দুলাল মিয়া তাঁর ভাগনেকে (১৭) আসামি করে শনিবার সকালে শ্রীবরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে তার বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল কেনার টাকা না দেওয়ায় ঘুমন্ত মায়ের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। পরে শ্রীবরদী থানার পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে (১৭) তাতিহাটী পশ্চিম এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে হনুফা বেগমের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের ভাইয়ের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১১ অক্টোবর রোববার সকালে মোটরসাইকেল কেনার জন্য মা হনুফা বেগমের কাছে টাকা চায় কিশোর ছেলে। টাকা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দিন গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় হনুফার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে হনুফা গুরুতর আহত হন। পরে বাড়ির লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হনুফা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সবশেষে তাঁকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে হনুফা মারা যান।

শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই দুলাল মিয়ার দেওয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তুতি চলছে। ছেলেকে (১৭) ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার তাকে কিশোর সংশোধনাগারে স্থানান্তর করা হবে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে।