Thank you for trying Sticky AMP!!

আগৈলঝাড়ায় নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

নারী নির্যাতন

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নে এক নারীকে (২৮) গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও সেই নির্যাতনের ভিডিও ধারণের অভিযোগ মামলা হয়েছে। ওই নারীর এক ভগ্নিপতি ছয়জনকে আসামি করে আজ বুধবার আগৈলঝাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই মামলা করেন।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার দক্ষিণ বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাগধা গ্রামের কাশেম খানের সঙ্গে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর ভগ্নিপতির জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জেরে সম্প্রতি কাশেম খান ওই নারীর ভগ্নিপতিসহ ১০ পরিবারের বাড়িতে প্রবেশের পথ বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন।

নির্যাতনের শিকার ওই নারীর ভগ্নিপতি বলেন, গত রোববার সন্ধ্যায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি থেকে তাঁর বাড়িতে বেড়াতে আসেন তাঁর স্ত্রীর ছোট দুই বোন ও এক ভাই। তাঁরা প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধের বিষয়টি না জেনে কাশেম খানের দেওয়া বেড়া অতিক্রম করে ভগ্নিপতির বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাশেম খানের ছেলে ইলিয়াস খান (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী রেখা বেগম (৩৮) তাঁদের থামিয়ে দেন। এ নিয়ে কথা বললে ইলিয়াস খানের সঙ্গে তাঁরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ইলিয়াস খান ও তাঁর স্ত্রী রেখা বেগম পারভিন আক্তারকে মারধর করে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী বলেন, ‘ইলিয়াস খান ও তাঁর স্ত্রী রেখা বেগম আমাকে মারধর করেন এবং আমাকে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেন। এ সময় ইলিয়াসের ছেলে আহাদ হোসেন খান তার মুঠোফোনের ক্যামেরায় বেঁধে রেখে নির্যাতনদৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও ধারণ করার সময় আমার ছোট বোন ও ছোট ভাই বাধা দিলে তাঁরা তাঁদেরও মারধর করেন। পরে স্থানীয় পরেশ দাস, আবুল কালাম সরদার, আবদুল হক ঢালীসহ গ্রামের লোকজন এসে রশি খুলে দিয়ে আমাকে মুক্ত করেন।’

ওই নারীকে গাছে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য ইলিয়াস খানের মুঠোফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তাঁর বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম খান ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, এক নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ও নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করায় মামলা হয়েছে। ওই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।