Thank you for trying Sticky AMP!!

আদালতের আদেশে নাটোর পৌরসভার ১৪ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন স্থগিত

নির্বাচন কমিশন

রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নাটোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত চিঠি গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নাটোরের জেলা প্রশাসকের হাতে এসে পৌঁছায়।

নির্বাচন কমিশন থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে আইনগত জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নাটোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ খবর জানার পর পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা গতকাল সন্ধ্যা থেকে সব ধরনের গণসংযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোটাররা।  

নাটোরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম রাব্বী নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নাটোর পৌরসভার তিনজন কাউন্সিলর ২০১৫ সালে তাঁদের এলাকার সীমানা বর্ধিত করার আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিষয়টি নিষ্পত্তি করা সময়সাপেক্ষ হওয়ায় নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন সাজেদুল আলম ওরফে বুড়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিতের খবর পেয়ে আমরা হতাশ হয়েছি। ২০১৫ সালে দায়ের করা রিটটি এত দিনেও নিষ্পত্তি না হওয়া দুঃখজনক।’

সাবেক কাউন্সিলর ও এবারের নির্বাচনের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল ইসলাম বলেন, সময়ের কাজ সময়ে শেষ না করার কারণে নির্বাচন নিয়ে এই বিড়ম্বনা। যাঁরা রিট করেছিলেন, তাঁরা কেন এত দিন এ ব্যাপারে তৎপর ছিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁরা কি আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকতে চান?

বর্তমান মেয়র ও এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া উমা চৌধুরী বলেন, ‘স্থগিতের খবরে হতভম্ব হয়েছি। আমরা মনোনয়নপত্র দাখিল করাসহ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছি।’ গত পাঁচ বছরে কেন আপনারা এই রিট নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেননি—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব বাড়ানোর জন্য পৌর এলাকার সীমানা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে রিট করা হয়েছিল। তাই আমি এর বিরোধিতা করিনি। শুনেছিলাম, নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর মন্ত্রণালয় সেই কাজ করবে। কিন্তু হঠাৎ নির্বাচনের আগে কেন স্থগিতাদেশ দেওয়া হলো, তা বুঝছি না।’