Thank you for trying Sticky AMP!!

আম্পানে নওগাঁয় আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ঝরে পড়েছে গাছের আম। ইসলামপুর এলাকা, সাপাহার, ২১ মে। ছবি: প্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে নওগাঁয় আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আম চাষিরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ে আম বাগানের প্রায় ৫০ শতাংশ আম ঝরে পড়ে গেছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, তারা এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে পারেনি।

আজ বৃ্হস্পতিবার সকালে জেলার সাপাহার ও পোরশা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাগানে–বাগানে মাটিতে পড়ে আছে ঝরে পড়া আম। ফেটে নষ্ট হয়েছে অনেক আম। কোনো কোনো বাগানে আমের গাছ উপড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ডাল ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছের।

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার রাত একটা থেকে দুইটার দিকে আম্পান নওগাঁয় আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭০-৮০ কিলোমিটার।

নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এ বছর ২১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। ৪ হাজার ৮০০ আম চাষির প্রায় ৭ হাজার বাগান রয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৫ মেট্রিক টন। এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ, অর্থাৎ ১ লাখ ৮৫ হাজার আম ঝরে পড়েছে। ভরা মৌসুমে আমের দাম ৪০ টাকা কেজি ধরলে এর দাম প্রায় ১০০ কোটি টাকা।

জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে ৬০ ভাগেরও বেশি আম উৎপাদন হয় পোরশা ও সাপাহার উপজেলায়। সাপাহার উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আমচাষি সাইফুর রহমান বলেন, ৪০ বিঘা জমির ওপর তার চারটি বাগান রয়েছে। ঝড়ে বাগানের তিন হাজার গাছের অর্ধেক আম পড়ে গেছে। বেশ কিছু গাছ ঝড়ে পড়ে গেছে। ঝরে পড়া আম ৩-৪ টাকা কেজির বেশি বিক্রি হবে না। যেসব আম ফেটে গেছে, সেসব কেউ কিনবে না।

সাপাহার উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, সাপাহারে এবার ৮ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এমনিতেই এবার বাগানগুলোতে আম কম ধরেছিল। তারওপর এই ঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনো নিরূপণ করা যায়নি, তবে কিছু বাগান পরিদর্শন করে ধারণা হচ্ছে, আম গাছের প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ আম পড়ে গেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আম চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।