আশাশুনিতে পলাতক করোনা রোগী আটক
ঢাকা থেকে পালিয়ে এসে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আত্মগোপনে থাকা করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীকে অবশেষে পুলিশ আটক করেছে। গতকাল বুধবার রাত ১০টা দিকের আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গনাকরকাটি এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তাঁরা বুধবার বিকেলে গোপনে সংবাদ পান, ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ‘পজিটিভ’ একজন নারী পালিয়ে মঙ্গলবার সাতক্ষীরা এসেছেন। ওই নারীর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নে।
পরে তাঁর মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে দেখা যায়, তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অবস্থান করছেন। তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে কুল্যা ইউনিয়নের তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই নারী সেখান থেকেও পালিয়ে যান। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পুলিশ কুল্যা ইউনিয়নের মহাজনপুর এলাকার দাঁতপুর বিল থেকে তাঁকে আটক করে।
এ বিষয়ে বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শীষ মোহাম্মদ জানান, ওই নারী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি সেখান থেকে পালিয়ে মঙ্গলবার বাড়ি এসে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। আজ তিনি গিয়েছিলেন কুল্যা ইউনিয়নে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তাঁর এলাকার বেওলা গ্রামের ৪৬টি বাড়ি ইতিমধ্যে তাঁরা লকডাউন করে দিয়েছেন।
আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা সুদেষ্ণা সরকার জানান, যেহেতু ওই নারী আগে থেকে করোনা পজিটিভ, সেহেতু তাঁকে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। ওই নারীর বয়স ২৪ বছর।
এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজা জানান, কুল্যা ও বুধহাটা ইউনিয়নে যেসব স্থানে ও বাড়িতে ওই নারী গিয়েছিলেন, সেসব এলাকা ও বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
-
যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছেলের মৃত্যু, কান্না থামছে মা–বাবার
-
রাজধানীর তাপমাত্রা আরও বাড়ল, চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ
-
শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ১৫ অভিযোগ, সুরাহা না পেয়ে প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
-
মোস্তাফিজের এবারের আইপিএল: সাবেক দলের বিপক্ষে উইকেট যে কারণে কম
-
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ