Thank you for trying Sticky AMP!!

আসামির ওপর হামলা, হাত-দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় জুলহাস ঢালী (৫০) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি হত্যা মামলার বাদীপক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে দুই পায়ে জখম এবং হাত ও দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলার নড়িয়া-শরীয়তপুর সড়কের ভোজেশ্বর ইউনিয়নের কলাবাগান এলাকায় আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার জুলহাস ঢালী ভোজেশ্বর বাজারের বালু ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়ি ওই ইউনিয়নের চান্দনি গ্রামে।

জুলহাস নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তাঁর হাত-পাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। সদর হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
মুনীর আহমেদ, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক

নড়িয়া থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছর জুন মাসে চান্দনি গ্রামের ইয়াকুব ছৈয়ালকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় প্রতিবেশী জুলহাস ঢালীসহ ২২ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করে নিহতের পরিবার। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। আজ সকালে ওই মামলায় হাজিরা দিতে রিকশায় করে জেলা শহরে যাচ্ছিলেন জুলহাস। পথে ইয়াকুব ছৈয়ালের ছেলে রাব্বি ছৈয়াল ও ভাই শোহরাব আলী ছৈয়ালের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জন তাঁর গতি রোধ করেন। হামলা থেকে বাঁচতে জুলহাস দৌড়ে একটি দোকানের ভেতর আশ্রয় নিলে সেখানেই তাঁকে কোপানো ও পেটানো হয়। ওই দোকানেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালান তাঁরা। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় জুলহাস ঢালীকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জুলহাস ঢালীর ছেলে শাকিল ঢালী বলেন, ‘মামলায় কোর্টে হাজিরা দিতে বাড়ি থেকে শরীয়তপুর সদরের উদ্দেশে রওনা হন আমার বাবা। প্রতিপক্ষ রাব্বি ও শোহরাব আলীর লোকজন হত্যার উদ্দেশ্যে ধারাল অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে বাবার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে।’

এ ঘটনার পর রাব্বি ছৈয়াল ও শোহরাব আলী ছৈয়াল পলাতক। তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, জুলহাস নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তাঁর হাত-পাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। সদর হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।