Thank you for trying Sticky AMP!!

ইউএনওর ওপর হামলা, জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানম

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে ওই তিনজনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এর মধ্যে দুজনকে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই তিনজন হলেন, ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম, ইউএনওর গাড়ি চালক (উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের গাড়িচালক হিসেবে নিযুক্ত) ইয়াসিন আলী (২৮) এবং ইউএনওর বাসভবনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী অরসোলা হেমব্রম (৩৬)।

এর মধ্যে আশরাফুল ইসলাম এবং অরসোলা হেমব্রমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আশরাফুল ইসলাম গতকাল রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলাসংলগ্ন সাগরপুর গ্রামে ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ছোট বোন রত্না বেগম। আর অরসোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনওর বাসার আরেক কর্মী সুনীল চন্দ্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মধ্যরাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর কেটে দুর্বৃত্তরা তাঁর শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ে। এর আগে দুর্বৃত্তরা ওই বাসভবনের নিরাপত্তাপ্রহরীকে বেঁধে প্রহরীকক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখে। ইউএনওর বাবা ওমর আলী (৭০) প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তিনি হাঁটতে বের না হওয়ায় সঙ্গীরা তাঁর খোঁজ নেওয়ার জন্য বাসভবনে যান। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দেন।

পরে পুলিশ গিয়ে ইউএনও, তাঁর বাবা ও প্রহরীকে উদ্ধার করে। আহত বাবা-মেয়েকে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন।

Also Read: ইউএনও ওয়াহিদার সব প্যারামিটারই ভালো: চিকিৎসক