Thank you for trying Sticky AMP!!

ইউএসটিসির ১৮ তলা ভবনের অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে সিডিএ

বুলডোজার দিয়ে ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হচ্ছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) একটি বহুতল ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙার অভিযান শুরু হয়েছে। ভবনটির একটি অংশ খালের জায়গা দখল করে করা। এ ছাড়া দুটি তলার অনুমোদন নেই।

চট্টগ্রাম নগরের খুলশী এলাকায় অবস্থিত ১৮ তলা ভবনটির অবৈধ অংশ ভাঙতে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান শুরু করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিডিএর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল আলম চৌধুরী। সিডিএর এই অভিযানে সহায়তা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা অভিযানস্থলে রয়েছেন।

সিডিএ সূত্র জানায়, ইউএসটিসি ১৬ তলা ভবনের অনুমোদন নেয়। কিন্তু তারা ১৬ তলার বদলে ১৮ তলা ভবন করে। এ ছাড়া তারা নগরের গয়নাছড়া খালের জায়গা দখল করে নকশাবহির্ভূতভাবে ভবনটির একটি অংশ নির্মাণ করে, যা অবৈধ।

১৮ তলা ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান শুরু করে সিডিএ

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৮ সাল থেকে একটি প্রকল্প শুরু করে সিডিএ। ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ নামের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে নগরের ৩৬টি খাল থেকে ৩ হাজার ১৫৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ অনিয়ম করেছে। তারা ভবনের একটি অংশ খালের ওপর নির্মাণ করেছে। আবার নকশা অনুযায়ী ভবনটি নির্মাণ করা হয়নি। তাই ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।

অভিযানের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য ঘটনাস্থলে ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।

সিডিএ সূত্র জানায়, ১৩ হাজার বর্গফুট আয়তনের মধ্যে অবৈধ ৪ হাজার বর্গফুট ভেঙে ফেলা হবে। এ ছাড়া ভবনটির অবৈধ দুটি তলাও ভেঙে ফেলা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চারটি বুলডোজার দিয়ে ভবনটির অবৈধ অংশ ভাঙা হচ্ছে। এই কাজে প্রায় ৭০ জন শ্রমিক যুক্ত রয়েছেন।