Thank you for trying Sticky AMP!!

ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে সঞ্চয় আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও এক সচিবের বিরুদ্ধে হতদরিদ্র ব্যক্তিদের সঞ্চয়ের ছয় লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পরিষদের ১২ জন সদস্য সম্প্রতি এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, ভিজিডির সঞ্চয় হিসেবে বিভিন্ন সময়ে ৫৪০ জন হতদরিদ্রের জমা দেওয়া ২০০ টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা দেননি অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। তাঁরা যোগসাজশ করে জমা দেওয়া মোট ছয় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম বিধান চন্দ্র চৌধুরী। আর সচিবের নাম বিপ্লব কুমার দাস। বিপ্লব সম্প্রতি অন্য ইউপিতে বদলি হয়েছেন। ১২ জন ইউপি সদস্যের করা অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, বর্তমানে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৫৪০ জন দরিদ্র মানুষ ভিজিডির চাল সহায়তা পাচ্ছেন। এ জন্য তাঁদের প্রত্যেককে প্রতি মাসে ২০০ টাকা সঞ্চয় জমা দিতে হয়। এ টাকা সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব প্রায় ছয় লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেননি। এ ছাড়া ২০১৭ সাল থেকে আদায় হওয়া করের টাকারও কোনো হিসাব নেই। বারবার বলার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা করের কোনো হিসাব দেখাতে পারেননি। ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের কাছে এসব বিষয় নিয়ে কথা বললে তাঁরা একে অন্যের ওপর দোষ চাপান। বদলি হওয়ার আগেও ইউপি সচিব কোনো হিসাব দেখিয়ে যাননি।

বাহাড়া ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ব্রজলাল দাশ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নরেশ অধিকারী জানান, আদায় হওয়া কর থেকে তাঁরা ভাতা পান। কিন্তু প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে তাঁরা কোনো ভাতা পাচ্ছেন না। করের টাকার কোনো হিসাবও নেই।

সদ্য বদলি হওয়া সচিব বিপ্লব কুমার দাস বলেছেন, সব হিসাব তাঁর কাছে আছে। কোনো টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি। করোনার কারণে ভিজিডিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুই মাসের সঞ্চয় তোলা হয়নি। এ ছাড়া পরিষদের সদস্যরা এ পর্যন্ত ৫২ হাজার ৮০০ টাকা করে ভাতা পেয়েছেন বলেও দাবি করেন বিপ্লব কুমার।

ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরীও তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি সদস্য থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি। কখনো কোনো অনিয়ম করিনি। মানুষের কাজে ব্যস্ত থাকায় আমাকে সচিবের ওপর নির্ভর করতে হয়। এ কারণে হিসাবে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সচিবকে দু-এক দিনের মধ্যে সব হিসাব বুঝিয়ে দিতে এবং তাঁর কাছে থাকা সব টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি হলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’