Thank you for trying Sticky AMP!!

ইজারাদারের বিরুদ্ধে অন্য স্থান থেকে বালু তোলার অভিযোগ

কুমিল্লা নগরের একটি হোটেলে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন গোমতী নদীর বালুমহালের সাবেক ইজারাদার আরফানুল হক

কুমিল্লার গোমতী নদীর ৫টি বালুমহাল ইজারা নিয়ে ২৯টি এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান ইজারাদার মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার কুমিল্লা নগরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সাবেক ইজারাদার আরফানুল হক।

এর আগে গত শনিবার বর্তমান ইজারাদার মাহাবুবুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে গোমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

আরফানুল হক কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি প্রায় এক যুগ গোমতী নদীর বালুমহালের ইজারাদার ছিলেন। আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত জুনে জেলা বালুমহাল কমিটি ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মেসার্স এম রহমান প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানকে গোমতী নদীর পাঁচটি বালুমহালের ইজারা দেয়। কিন্তু তাঁর ট্রেড লাইসেন্স তিন-চার বছর ধরে নবায়ন করা হয়নি। তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন না। কোন অদৃশ্য শক্তির বলে মেসার্স এম রহমান ইজারা পেল, তা বুঝতে পারছি না।’

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘বৈধভাবে ইজারা পেয়েছি। কারা আমাদের হয়রানি করছেন, প্রশাসন তা জানে। বৈধ টাকা দিয়েই ব্যবসা করছি। নির্ধারিত এলাকা থেকেই বালু তুলছি।’


এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, ‘অবৈধভাবে গোমতী নদী থেকে বালু তোলা যাবে না। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বৈধ ইজারাদার গোমতী নদীর আদর্শ সদর উপজেলার নির্ধারিত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করবেন। এর বাইরে কারও বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম রহমান বালুমহাল পেয়েছে।’