Thank you for trying Sticky AMP!!

ঈদের পঞ্চম দিনে যমুনাপাড়ে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

ঈদের পঞ্চম দিনে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরে শহর রক্ষা বাঁধ, হার্ডপয়েন্ট ঘিরে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। শনিবার বিকেলে তোলা

ঈদের পঞ্চম দিনে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরে শহর রক্ষা বাঁধ, হার্ড পয়েন্ট ও বাঁধের পাশেই নির্মিত শেখ রাসেল পার্ক ঘিরে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। খরস্রোতা যমুনা নদীর প্রবহমান জলধারা উপভোগ করেন দর্শনার্থীরা। পৌর শহরের পাশেই অবস্থান হওয়ায় সহজেই সিরাজগঞ্জের মানুষ সেখানে যেতে পারছে।

আজ শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, শহর রক্ষা বাঁধ, শেখ রাসেল শিশুপার্কের চারপাশে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষের ভিড়। কেউ প্রিয়জনের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত, কেউবা তুলছেন সেলফি।

এ সময় কথা হয় পৌর শহরের ধানবান্দি এলাকার গৃহবধূ শিরিন বেগমের সঙ্গে। তিনি স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন যমুনার পাড়ে। শিরিন বেগম প্রথম আলোকে বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছরে কোথাও যেতে পারেননি। এবার সুযোগ পেয়েছেন। সন্তানেরা বায়না ধরেছে যমুনা নদী দেখবে। ঈদের দিন বৃষ্টি হওয়ায় বের হতে পারেননি। এরপর পারিবারিক নানা আচার-অনুষ্ঠানের কারণে ব্যস্ত ছিলেন। আজ সবাইকে নিয়ে চলে এসেছেন। শহরে বিনোদনের জন্য হাতেগোনা কয়েকটি স্পট আছে। তবে শহর রক্ষা বাঁধ, শেখ রাসেল শিশুপার্ক একটু অন্য রকম বলে জানান তিনি।

শহরের বড় বাজার এলাকার কলেজশিক্ষার্থী হেলেনা জাহান বলেন, ‘সিরাজগঞ্জে আগে বিনোদনের তেমন কোনো জায়গা ছিল না। কিন্তু এখন শিশুপার্কটি হয়েছে। পাশাপাশি শহর রক্ষা বাঁধটি বিশেষ আকর্ষণ করেছে দর্শনার্থীদের। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। যমুনা নদী পানিতে ভরে উঠলে সৌন্দর্য আরও বাড়বে।’
সিরাজগঞ্জ শহর আরও বাসযোগ্য করতে বিভিন্ন প্রকল্প চলমান বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র আবদুর রউফ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে শহরবাসীর আনন্দ-বিনোদনের জন্য বেশ কয়েকটি স্পট তৈরি হবে।

দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন। শনিবার বিকেলে যমনা নদীর তীরে

জেলা পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ঈদ উপলক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দর্শনার্থীদের কথা চিন্তা করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জনসাধারণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সে ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।