Thank you for trying Sticky AMP!!

ঈশ্বরদীতে যাত্রী তোলা নিয়ে বিরোধে অটোরিকশাচালককে হত্যা

পাবনার ঈশ্বরদীতে যাত্রী তোলা নিয়ে বিরোধে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকের মারপিটে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। উপজেলার দাশুড়িয়া মোড়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর দুপুর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহত অটোরিকশাচালকের নাম সুজন হোসেন (৩৫)। তাঁর বাড়ি উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের মৃধাপাড়া গ্রামে।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই মোড়ে যাত্রী পরিবহন নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের বিরোধ চলছে। কে কার আগে যাত্রী তুলবেন, এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা তৈরি হয়। এর জেরে বেলা দুইটার দিকে কাশেম জমিদার নামের এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সুজন হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় কাশেম জমিদার তাঁর অটোরিকশায় থাকা রড বের করে সুজনকে পেটাতে থাকেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পরে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল করে পাবনা-কুষ্টিয়া ও পাবনা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল করে পাবনা-কুষ্টিয়া ও পাবনা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মো. নাসীর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে নিহত সুজন হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্ত অটোরিকশাচালককে ধরতে চেষ্টা চলছে।