Thank you for trying Sticky AMP!!

উদ্ধার হওয়া লঞ্চে ছিল স্কুলছাত্রী জিবুর নিথর দেহ

লঞ্চ থেকে লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে। স্বজন ও স্থানীয় লোকজন অপেক্ষা করছেন শীতলক্ষ্যার তীরে

বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল স্কুলছাত্রী জিবু আক্তার (১০)। ‘লকডাউন’ শুরু হওয়ার খবরে আরেক বোন–দুলাভাইয়ের সঙ্গে রওনা হয়েছিল বাড়ির পথে। কিন্তু তার আর ফেরা হয়নি। শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া লঞ্চে মিলেছে জিবুর লাশ। আহত অবস্থায় বোন–দুলাভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জিবু আক্তার ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ চেঁচরী গ্রামের মো. তোফাজ্জেল হাওলাদারের মেয়ে। সে দক্ষিণ–পূর্ব চেঁচরী জমাদ্দারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার মৃত্যুর খবরে বাড়িতে চলছে মাতম।


গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সাবিত আল হাসান নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে লঞ্চটি মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। এ ঘটনায় মোট ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে আজ ২১ জনের এবং গতকাল গভীর রাতে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

Also Read: শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবিতে মোট ২৬ জনের লাশ উদ্ধার

জিবুর বাবা তোফাজ্জাল হাওলাদার বলেন, জিবুর বড় বোন লিপি নারায়ণগঞ্জে ও আরেক বোন তামান্না মুন্সিগঞ্জে থাকে। কিছুদিন আগে জিবু তার বড় বোন লিপির সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের বাসায় বেড়াতে যায়। লকডাউনের কথা শুনে লিপির বোন তামান্না ও দুলাভাই খাইরুলের সঙ্গে রোববার নারায়ণগঞ্জ থেকে সাবিত আল হাসান লঞ্চে মুন্সিগঞ্জে যাচ্ছিল। পরে লঞ্চটি দুর্ঘটনার কবলে পরে ডুবে যায়। বোন তামান্না ও দুলাভাই খাইরুল আহত অবস্থায় সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ থাকে জিবু। আহত তামান্না ও খাইরুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার লঞ্চটি উদ্ধারের পর ভেতর থেকে জিবুর নিথর দেহ বের করে আনা হয়।