Thank you for trying Sticky AMP!!

উপসর্গ শুনে তাঁকে কেউ হাসপাতালে নিতে রাজি হচ্ছেন না

‘ডাক্তার বলছেন, হাসপাতালে আসেন। কিন্তু কোনো পরিবহন আমাকে হাসপাতাল নিতে চাচ্ছে না। বাড়িতে ওষুধ খেয়ে জ্বর, সর্দি, হাঁচি ভালো হচ্ছে না। এখন আমি কী

আজ শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে কথাগুলো বলছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা এক তরুণ। তিনি বাগাতিপাড়া ডিগ্রি কলেজে পড়েন।

ওই তরুণ বলেন, পাঁচ দিন ধরে তিনি জ্বর ও সর্দিতে ভুগছেন। একজন গ্রাম্যচিকিৎসক তাঁকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন। চার দিন ওষুধ খেয়ে ভালো না হওয়ায় গত শুক্রবার তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফোনে কল করে সমস্যার কথা জানান। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক তাঁকে প্যারাসিটামল, হিস্টাসিন জাতীয় ওষুধ খেতে বলেন। সেসব খেয়েও তিনি সুস্থ হচ্ছেন না। আবার কল করলে চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু গ্রামের কোনো ভ্যান-রিকশা বা অটোরিকশাওয়ালা তাঁকে হাসপাতালে নিতে রাজি হচ্ছেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানান। চেয়ারম্যান জানান, তাঁকে রাজশাহীতে নিয়ে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, পরীক্ষা করাতে হবে। এ জন্য তাঁকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিতে হবে। বাবা চাঁদপুরে থাকায় এ টাকা জোগাড় করা তাঁর জন্য মুশকিল। এ অবস্থায় এখন তিনি কী করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

জানতে চাইলে বাগাতিপাড়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন, সর্দি-কাশির রোগী এখন কেউ বহন করতে চান না। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হলেও ওই তরুণকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে নিয়ে যেতে হবে। তিনি সেই চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা বলেন, রোগীকে নিজের ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালে আসতে হবে। হাসপাতালে নিয়ে আসার কোনো ব্যবস্থা করা তাঁর পক্ষে করা সম্ভব নয়।