Thank you for trying Sticky AMP!!

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বাসভবন ঘেরাও

ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবন অবরুদ্ধ করে দিনভর বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: হাসান মাহমুদ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রতি) উপাচার্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। আজ শনিবার ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবন অবরুদ্ধ করে দিনভর বিক্ষোভ করেছে।

গত ২৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হতে না পেরে মনিরুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে উপাচার্যের পথ আটকে ৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। চাকরি না দেওয়ায় তিনি উপাচার্যর কাছে টাকা ফেরত চান। ওই দিন রাতে এ- সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি), নিয়োগ পরীক্ষাটি বাতিল ও উপাচার্যকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করায় তিন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।

এরপর ২৮ অক্টোবর থেকে ওই তিন শিক্ষকের নোটিশ প্রত্যাহার ও চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে উপাচার্যর ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে তদন্তসহ ১২ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এক সপ্তাহে দাবি পূরণ না হওয়ায় গত বুধবার থেকে তাঁরা উপাচার্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটিতে বন্ধ থাকার পর শনিবার ক্যাম্পাস খুলতেই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। সকাল ৯ টার দিকে তাঁরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি কয়েক দফা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এরপর দিনভর উপাচার্যের বাসভবন ঘিরে রেখে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক বাসভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পরেন। বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়ে ফিরে যান। যাওয়ার আগে তারা ফটকের তালা খুলে দিয়ে যান।

ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের বাইরে গিয়ে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। ছবি: হাসান মাহমুদ

ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভাষ্য, গত এক সপ্তাহে বিভিন্নভাবে উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তাঁদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রতি নিয়ত মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। কিন্তু দাবি পূরণ হয়নি। এতে প্রমাণ হয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও দুর্বলতা রয়েছে। ঘুষ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণেই উপাচার্য এ বিষয়ে কোনো তদন্ত করছেন না।

এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রীতম কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, অবরুদ্ধ অবস্থাতেই উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে শিক্ষার্থীরা কোনো কথাই শুনছেন না। বিকেলে উপাচার্য শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তবে এখন কোনো বিষয়ে প্রশাসনিক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।