Thank you for trying Sticky AMP!!

উৎসমুখে পানি বাড়ছে, ভাটিতে কমছে

কুশিয়ারা নদীর পানির স্তর পরিমাপের এলাকা। সম্প্রতি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে

সিলেটের দুটি প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারার উৎসমুখে পানি কমে আবার বাড়ছে। তবে দুটি নদীরই পানি ভাটির দিকে কমছে। এ কারণে এ অঞ্চলে আপাতত বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার।

সুরমা ও কুশিয়ারার উৎসমুখ সীমান্তবর্তী এলাকায়। এই দুই নদীর মুখে পানি বাড়ায় সীমান্ত নদী হিসেবে পরিচিত সারী ও লোভার পানিও বাড়ছে। তবে ধলাই নদের পানি কমছে।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, কুশিয়ারা সিলেটের ছয়টি উপজেলা হয়ে মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার একাংশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এ নদীর কুশিয়ারার উৎসমুখ জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসিদ এলাকায় ভারতের বরাক মোহনা। অমলসিদ এলাকায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ১২ দশমিক ৯০ মিটার থেকে পানি বেড়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ১৩ দশমিক ১১ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় পানি আরেক ধাপ বেড়ে ১৩ দশমিক ১৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। উৎসমুখে পানি বাড়লেও কুশিয়ারার মধ্যভাগের বিয়ানীবাজারের শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি কম ছিল।

সুরমা সিলেট অঞ্চলের দীর্ঘতম নদী। এটি সিলেট ও সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এটির উৎসমুখ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায়। সেখানে এটি লোভার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। কানাইঘাট এলাকায় সুরমার পানি গতকাল সন্ধ্যায় ১০ দশমিক ৪৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। আজ সকালে তা এক ধাপ বেড়ে ১০ দশমিক ৫২ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সিলেট শহর পয়েন্টে সুরমার পানি কমেছে। গতকাল সন্ধ্যায় এখানে পানি ৮ দশমিক ৫৭ মিটার থেকে কমে দুপুরে ৮ দশমিক ৫০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়।

নদী দুটির উৎসমুখে পানি বাড়ায় সীমান্ত থেকে নেমে আসা জৈন্তাপুরের সারী ও কানাইঘাটের লোভাছড়ায় লোভা নদীর পানি বাড়ছে। সারীর পানি সারীঘাট পয়েন্টে ৯ দশমিক ২৮ মিটার থেকে বেড়ে আজ দুপুরে ৯ দশমিক ৪১ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। লোভার পানি ১১ দশমিক ৫৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকালে লোভার পানি ১ সেন্টিমিটার বেড়ে দুপুরে আবার কমেছে। দিনের মধ্যভাগের পরিমাপ অনুযায়ী দুপুর ১২টায় লোভার পানি ১১ দশমিক ৫৪ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বাড়লেও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ধলাই নদের পানি কমছে। ভারতের বৃষ্টিপ্রবণ মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের চেরাপুঞ্জির পাদদেশ থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঝরনা ধলাইয়ের উৎসমুখ। এ নদের সীমান্তবর্তী ইসলামপুর পয়েন্টে পানি পরিমাপ করা হয়। এখানে আজ সকালে পানি ৮ দশমিক ৮৬ মিটার থেকে নেমে দুপুরে ৮ দশমিক ৮৩ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবোর সিলেট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, উৎসমুখে বাড়লেও ভাটির দিকে পানি কমায় এ মুহূর্তে এ অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা নেই।