Thank you for trying Sticky AMP!!

একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে আহত

নরসিংদী জেলার মানচিত্র

নরসিংদীর পলাশে ধারালো অস্ত্রের কোপে এক পরিবারের নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেকপাড়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরিবারের বরাতে পুলিশ বলছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হামলা।

আহত তিনজন হলেন পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেকপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে শিবলু মিয়া (৪১), তাঁর স্ত্রী সুমি আক্তার (৩০) ও ছোট ভাই সেলিম মিয়া (৩৮)। তাঁরা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার দুপুরে শিবলু মিয়া প্রতিপক্ষের তিনজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


আহত ব্যক্তিদের ভাষ্য ও থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ বছর আগে টেকপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার কাছ থেকে আড়াই শতক জমি কেনেন শিবলু মিয়া। বিষয়টি নিয়ে লতিফ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে শিবলুর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সালিস-বৈঠক হয়েছে। প্রতিবারই দলিলপত্র দেখে সালিসকারীরা শিবলু মিয়ার পক্ষে রায় দেন। এ থেকে শিবলু মিয়ার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন শফিকুল।

এসব ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকালে শফিকুল ইসলাম, তাঁর ভাই মফিজ উদ্দিন ও ছেলে মহসীন মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে শিবলুর বাড়িতে আসেন। এসেই তাঁরা শিবলুর বাড়ির শৌচাগার ভাঙতে শুরু করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই তিনজন দা দিয়ে শিবলু মিয়ার পিঠে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। বাধা দিতে গেলে শিবলু মিয়ার স্ত্রী সুমি আক্তার ও ভাই সেলিম মিয়াকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

পরে শিবলু, সুমি ও সেলিমকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয় প্রকাশ ভক্ত বলেন, ওই তিনজনকে দা জাতীয় ধারালো কিছু দিয়ে কোপানো হয়েছে। তাদের মধ্যে সুমি আক্তারের কপালে ৭টি, সেলিম মিয়ার হাতে ১১টি ও শিবলু মিয়ার পিঠে ৯টি সেলাই দিতে হয়েছে।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিবারটির পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।